ফাজায়েলে দোয়া: মুসলিম জীবনের প্রাত্যহিক দোয়াসমূহ

যিলহজ্জের প্রথম দশদিনের জিকির

Date

Author

Blog Duration

79 minutes

ফাজায়েলে দোয়া

দোয়া চাওয়ার ফজিলত

হাদীস শরীফে এসেছে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া চাওয়া ইবাদত করার মতই একটা কাজ। এরপর হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ আয়াত পড়লেন-

وَقَالَ رَبُّكُم ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ إِنَّ الَّذِينَ يَسْتَكْبِرُونَ عَنْ عِبَادَتِي سَيَدْخُلُونَ جَهَنَّمَ دَاخِرِينَ

অর্থ:- এবং তোমাদের প্রভু বলেন তোমরা আমার কাছে দোয়া চাও আমি তোমাদের দোয়া কবুল করব। নিশ্চয়ই যে সমস্ত লোক আমার ইবাদত থেকে অহংকার করে (ইবাদত করে না) অবশ্যই তারা বঞ্চিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
(আবু দাউদ)

অন্য হাদীসে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে দোয়া চায় না আল্লাহ তার প্রতি অসস্তুষ্ট হন।
(আদ দোয়া)

এক হাদীসে বলেন- দোয়া হলো মুমিনের তলোয়ার। দ্বীনের স্তম্ভ এবং আসমান ও জমিনের আলো। (হাকেম, আবু হুরায়রা থেকে)

অন্য এক হাদীসে এসেছে একবার হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন এক গোত্রের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন যারা বিপদের সম্মুখিন ছিল। তখন হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন এ সমস্ত লোক কি মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করে না? (আদ দোয়া)

দোয়ার আদবসমূহ

১) হালাল রিজিক খাওয়া ও পরিধান করা।
২) ওজু করা।
৩) কিবলার দিকে মুখ করা।
৪) দোয়ার পূর্বে নামাজ পড়া।
৫) শুরু ও শেষে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর দুরুদ পড়া।
৬) উভয় হাত কাধ পর্যন্ত উঠানো।
৭) নিজের অপারগতা ও অক্ষমতা প্রকাশ করা।
৮) বিনীতভাবে প্রার্থনা করা।
৯) নবীদের ওসিলা দিয়ে দোয়া করা।
১০) দোয়ার সময় আকাশের দিকে দৃষ্টি করা মাকরুহ।
১১) নিজের গুনাহসমূহ স্বীকার করা।
১২) আল্লাহর নেক বান্দাদের উসিলা করে দোয়া করা।
১৩) দোয়াকারী ও দোয়া শ্রবণকারী সকলে আমীন বলা।
১৪) ছোট হোক কিংবা বড় হোক সমস্ত হাজত আল্লাহর কাছে চাওয়া।
১৫) দোয়া শেষ হলে উভয় হাত মুখে বুলিয়ে নেয়া।
১৬) আল্লাহর রহমতের ব্যাপারে সংকীর্ণতা না করা। যেমন:- শুধু আমাকেই ক্ষমা করো অন্যদেরকে নয়।
১৭) দোয়ার সময় আওয়াজকে বড় না করা।

আল্লাহ তায়ালার জিকিরের ফজিলত

আধুনিক সভ্যতা

১) হাদীস শরীফে আছে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহর যিকিরই হলো সর্বোত্তম সদকাহ।
(তাবরানী ফি আওসাত)
২) অন্য এক হাদীসে এসেছে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদি কোন ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করার পর সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত সেখানে বসেই যিকির করে এবং দুই রাকাত নামাজ পড়ে (ইশরাক নামাজ) তাহলে তার আমল নামায় একটি হজ ও একটি ওমরার সওয়াব লেখা হয়।
(তিরমিযি)
৩) হাদীস শরীফে এসেছে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা এতো বেশি আল্লাহ তায়ালার যিকির কর যাতে মানুষ তোমাদেরকে পাগল বলে।
(আদ দুয়া)
৪) হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- নিশ্চয়ই ঐ সমস্ত লোক যাদের জিহ্বা সর্বদা আল্লাহ তায়ালার যিকিরে তরতাজা থাকে তারা হাসতে হাসতে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
৫) হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন, আল্লাহর কসম দুনিয়াতে এমন কিছু লোক আছে যারা শুয়ে শুয়ে আল্লাহর যিকির করে তাদেরকে আল্লাহ তায়ালা জান্নাতে উচ্চ মাকাম দান করবেন।
(আবু সাঈদ)
৬) এক হাদীসে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলাদের উদ্দেশ্য করে বলেন- তোমরা سُبحَانَ الله “সুবহানাল্লাহ” سُبحَانَ الله المَلك القدوس “সুবহানাল্লাহিল মালিকুল কুদ্দুস” এবং لا إله إلاالله “লা ইলাহা ইল্লাহ” এর যিকিরকে নিজেদের ওপর আবশ্যক মনে করে নাও। কখনো এগুলো থেকে উদাসিন হয়ো না। কেননা হতে পারে আল্লাহ তায়ালা তার রহমত থেকে তোমাদেরকে বঞ্চিত করে দিবেন।

যিকিরের আদব

উলামায়ে কেরাম কুরআন হাদীস থেকে বলেন-
১) যিকিরকারীর মুখ পরিষ্কার থাকা উচিৎ। যদি মুখে কোন কারণে দুর্গন্ধ থাকে তাহলে মেসওয়াক করে নিবে।
২) যদি কোথাও বসে যিকির কর তাহলে কিবলার দিকে মুখ করে নিবে।
৩) যে শব্দে দ্বারাই যিকির করা হয় তার অর্থ ভালভাবে বুঝে যিকির করবে এবং তাতে চিন্তা-ফিকির করবে।
৪) যদি কোনো যিকিরের অর্থ বুঝে না আসে তাহলে তা কোন আলেমের থেকে ভালভাবে বুঝে নিবে।
৫) যিকির শুধু اَللهُ اَكْبَرْ سُبْحَاْنَ اَلله لَاْ إِلهَ اِلَّا الله “আল্লাহু আকবার” “সুবহানল্লাহ” “লা ইলাহা ইল্লাহ” এর মধ্যে সীমাবদ্ধ না করা। বরং যে কোন কাজই হোক না কেন তা যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হয় তাহলে তাও আল্লাহর যিকির।
৬) সবচেয়ে বেশি ফজিলতপূর্ণ যিকির হলো কুরআন শরীফ তেলাওয়াত করা। (হিসনে হাসিন)
৭) বিনয় ও গুরুত্বের সাথে তেলাওয়াত করা।
(হিসনে হাসিন)
৮) পবিত্র জায়গায় যিকির করা। (হিসনে হাসিন)

দোয়া কবুল হওয়ার সময়

১) আরাফার দিন।
২) রমজান মাস।
৩) জুমার রাত।
৪) জুমার দিন।
৫) শেষ রাত।
৬) সেহরির সময়।
৭) জুমার দিন আসরের নামাজের পর থেকে মাগরিবের নামাজ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে।
(হিসনে হাসিন)

যে সময়গুলোতে বেশি বেশি দোয়া কবুল হয়

১) নামাজের আযানের পর।
২) আযান এবং তাকবিরের মাঝে।
৩) আল্লাহর রাস্তায় বের হলে।
৪) ফরজ নামাজের পর।
৫) কুরআন শরীফ তেলাওয়াতের পর।
৬) বিশেষ করে কুরআন শরীফ খতম করার পর।
৭) জমজমের পানি পান করা অবস্থায়।
৮) নামাজের একামত চলা কালে।
৯) বৃষ্টির সময়।
(হিসনে হাসিন)

যাদের দোয়া বেশি তাড়াতাড়ি কবুল হয়।

১) মাজলুমের দোয়া। (হিসনে হাসিন)
২) সন্তানের জন্য পিতামাতর দোয়া। (আবু দাউদ)
৩) ন্যায় পরায়ণ বদশার দোয়া। (হিসনে হাসিন)
৪) বুযর্গদের দোয়া। (হিসনে হাসিন)
৫) নেক সন্তানের দোয়া। (হিসনে হাসিন)
৬) মুসাফিরের দোয়া। (আবু দাউদ)
৭) ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া। (হিসনে হাসিন)
৮) এক মুসলমান অপর মুসলমানের জন্য তার অনুপস্থিতিতে দোয়া। (আবু দাউদ)

আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ

আল্লাহর দয়া

عن أبي هريرة قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم إن لله تعالى تسعة وتسعين اسما من أحصاها دخل الجنة

হযরত আবু হুারায়রা রা. থেকে বর্ণিত আছে যে, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালার ৯৯টি নাম আছে। যে এগুলো মুখস্থ রাখতে পারবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (তিরমিযি)

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ رَضِىَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- :্র إِنَّ لِلَّهِ تِسْعَةً وَتِسْعِينَ اسْمًا مِائَةً غَيْرَ وَاحِدَةٍ مَنْ أَحْصَاهَا دَخَلَ الْجَنَّةَ وَهُوَ وِتْرٌ يُحِبُّ الْوِتْرَ هُوَ اللَّهُ الَّذِى لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلاَمُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ الْغَفَّارُ الْقَهَّارُ الْوَهَّابُ الرَّزَّاقُ الْفَتَّاحُ الْعَلِيمُ الْقَابِضُ الْبَاسِطُ الَخَافِضُ الرَّافِعُ الْمُعِزُّ الْمُذِلُّ السَّمِيعُ الْبَصِيرُ الْحَكَمُ الْعَدْلُ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ الْحَلِيمُ الْعَظِيمُ الْغَفُورُ الشَّكُورُ الْعَلِىُّ الَكَبِيرُ الْحَفِيظُ الْمُقِيتُ الْحَسِيبُ الْجَلِيلُ الْكَرِيمُ الرَّقِيبُ الْمُجِيبُ الْوَاسِعُ الْحَكِيمُ الْوَدُودُ الْمَجِيدُ الْبَاعِثُ الشَّهِيدُ الْحَقُّ الْوَكِيلُ الْقَوِىُّ الْمَتِينُ الْوَلِىُّ الْحَمِيدُ الْمُحْصِى الْمُبْدِئُ الْمُعِيدُ الْمُحْيِى الْمُمِيتُ الْحَىُّ الَقَيُّومُ الْوَاجِدُ الْمَاجِدُ الْوَاحِدُ الصَّمَدُ الْقَادِرُ الْمُقْتَدِرُ الْمُقَدِّمُ الْمُؤَخِّرُ الأَوَّلُ الآخِرُ الظَّاهِرُ الْبَاطِنُ الْوَالِى الْمُتَعَالِى الْبَرُّ التَّوَّابُ الْمُنْتَقِمُ الْعَفُوُّ الرَّءُوفُ مَالِكُ الْمُلْكِ ذُو الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ الْمُقْسِطُ الْجَامِعُ الْغَنِىُّ الْمُغْنِى الْمَانِعُ الضَّارُّ النَّافِعُ النُّورُ الْهَادِى الْبَدِيعُ الْبَاقِى الْوَارِثُ الرَّشِيدُ الصَّبُورُ গ্ধ.

হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তা’য়ালার ৯৯ টি নাম রয়েছে যে ব্যক্তি তা মুখস্থ করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

(তিরমিজী শরীফ:৩৫০৭)

আল্লাহর নাম, অর্থ, উচ্চারণ ও ফজিলত

০১ ياالله
হে আল্লাহ ইয়া আল্লাহ হাদীসে আছে, রাসূল সা. এরশাদ করেছেন- যে ব্যক্তি রাতে নিদ্রার সময় “ইয়া আল্লাহ জিকির করতে করতে নিদ্রা যায়, জীবিত অবস্থায় তার অন্তরে আর মৃত্যুর পর তার কবরে নূর চমকাতে থাকে।
০২ يا رحمن
হে পরম করুণাময় ইয়া রহমানু যদি কোন ব্যক্তি প্রত্যেক দিন ফজরের নামাজের পর ১০০ বার এই পবিত্র নামের যিকির করে তাহলে তার মনের অলসতা, ভীতি ও গ্লানি দূর হয়ে যায়। পাঠকারীর ওপর আল্লাহর বিশেষ রহমত নেমে আসে। সে যাবতীয় মাকরুহ কাজ থেকে বেঁচে থাকে। তার মন সদা সর্বদা পবিত্র থাকে।
০৩ رحيم
হে পরম দয়াময় ইয়া রাহিম এ পবিত্র নাম লিখে যদি কোন গাছের গোড়ায় ধুয়ে দেওয়া হয় তাহলে সে গাছে প্রচুর ফল ধরে।
০৪ ياملك
হে বাদশাহ ইয়া মালিকু সূর্যাস্তের সময় যদি কোন ব্যক্তি এই নাম ৩৩ বার পড়ে তাহলে আল্লাহ তা’য়ালা পাঠকের মনের মলিনতা দূর করে দেন এবং প্রকাশ্য গুনাহ মাফ করে দেন।
০৫ ياقدوس
হে পবিত্রতম সত্ত্বার অধিকারী ইয়া কুদ্দুসুুু যে ব্যক্তি এই নাম মুবারক নিদ্রা যাওয়ার সময় বালিশে মাথা রেখে ১১ বার পাঠ করে নিদ্রা যায় নিদ্রার মধ্যে তার কোন স্বপ্নদোষ হবে না।
০৬ ياسلام
হে শান্তি ও প্রশান্তি দাতা ইয়া সালামু যে ব্যক্তি প্রত্যহ ফজরের নামাজের পর এই নাম এক হাজার বার পাঠ করবে সে ব্যক্তি কখনো অন্ধ, অবশ বা অক্ষম হবে না।
০৭ يامؤمن
হে নিরাপত্ত্বা দানকারী ইয়া মু’মিনু যে ব্যক্তি এই মোবারক নাম এক হাজার বার পাঠ করে কোন অন্ধকার রাতে বের হয় আল্লাহ তা’য়ালার ফজলে সে যাবতীয় শত্রু ও জিনের আসর থেকে নিরাপদে থাকবে।
০৮ يامهيمن
হে সত্য সাক্ষীর অধিকারী
ইয়া মুহাইমিনু যে সব সত্য পথের পথিকদের সাথে অসৎপন্থীরা অর্নথক শত্রুতা করে যদি তারা বেশি বেশি এই এসমে মোবারক পাঠ করে তাহলে ইনশাআল্লাহ শত্রুতা আপনা থেকেই নিস্ক্রিয় হয়ে যাবে।
০৯ ياعزيز
হে প্রতাপশালী
ইয়া য়াজিজু যদি কোন ব্যক্তি প্রত্যহ ফজরের নামাজের পর ৪১ বার এই নাম ৪০ দিন পর্যন্ত পাঠ করে, আল্লাহ তা’য়ালার আপন মহিমায় সে ব্যক্তি দুনিয়া ও আখিরাতে কারো মুুখাপেক্ষী হবে না।
১০ ياجبار
হে অজেয় শক্তিশালী ইয়া যাব্বারু এ পবিত্র নাম মোবারক প্রত্যহ সকাল ও সন্ধ্যায় ২১৬ বার করে পাঠ করলে অত্যাচারীর অত্যাচার থেকে নিরাপদ থাকা যায়।
১১ يامتكبر
হে গৌরবময় সত্ত্বা ইয়া

মুতাকাব্বির যে ব্যক্তি স্ত্রীর সাথে প্রথম মিলনের পূর্বক্ষণে এই মুবারক নাম ১০০ বার পাঠ করে স্ত্রীর সাথে সহবাস করে, আল্লাহ তা’য়ালা সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই সুসন্তান দান করবেন।
১২ ياخالق
হে ¯্রষ্টা
ইয়া খলিকু কোন প্রকার দুশ্চিন্তা বা বিপদে পড়লে আল্লাহ তা’য়ালার রহমতে এই নামের জিকিরের দ্বারা সেই চিন্তা বা বিপদ দূর হয়।
১৩ يا بارئ
হে মুক্তি দাতা
ইয়া বারিউ এই মুবারক নাম প্রত্যহ সাত বার পাঠ করলে কবরের আজাব থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
১৪ يامصور
হে শ্রেষ্ঠ শিল্পী ইয়া মুছাওয়িরু যে স্ত্রী লোকের সন্তান হয় না। গর্ভ নষ্ট হয়ে যায়। সে ুেলাক যদি ছয় দিন নফল রোজা রেখে প্রত্যহ ইফতারের পূর্বে এই মুবারক নাম ২১ বার পাঠ করে পানিতে দম করে সে পানি দ্বারা ইফতার করে এবং ইফতার শেষে পুনরায় এই মুবারক নামটি ২১ বার পাঠ করে তাহলে ইনশাআল্লাহ তার সন্তান হবে এবং গর্ভ নষ্ট হবে না।
১৫ ياغفار
হে অপরাধ ক্ষমাকারী

ইয়া গাফফারু এই মুবারক নাম যদি কোন ব্যক্তি জুমার দিন ওজু করে মসজিদে যাওয়ার সময় ১০০ বার পাঠ করে তাহলে আল্লাহ তা’য়ালার অনুগ্রহে যে কোন আবদ্ধ কাজ সমাধান হয়ে যায়, তা যত কঠিনই হোকনা কেন।
১৬ ياقهار
হে সক্ষম শাস্তি দাতা ইয়া ক্বাহহারু অবাধ্য সন্তানদের বশে আনার জন্য যে কোন ব্যক্তি যদি সন্তানদের চোখের দিকে চোখ রেখে এই মুবারক নাম পাঠ করে তাহলে ইনশাআল্লাহ অচিরেই তারা বশে আসতে বাধ্য হবে।
১৭ ياوهاب
হে সৎ কাজে পুরস্কার দাতা

ইয়া ওয়াহহাবু যে ব্যক্তি অর্থ ও অন্যভাবে অনাহারে কষ্ট পায় সে ব্যক্তি যদি প্রত্যহ ফজরের নামাজের পর সেখানেই বসে এই মুবারক নাম ১০০০ বার পাঠ করে অচিরেই তার অভাব দূর হয়ে সে দুঃখ-কষ্ট যাতনা থেকে মুক্তি পাবে।
১৮ يارزاق
হে রিজিক দাতা
ইয়া রাজ্জাকু প্রত্যহ ফরজ নামাজান্তে কেউ যদি এই মুবারক নাম ১০০ বার পাঠ করে তাহলে সে কখনো অনাহারে থাকবে না।
১৯ يافتاح
হে প্রশান্তকারী

ইয়া ফাত্তাহু যে কোন নতুন কাজ আরম্ভের সময়, নতুন চাকুরীতে যোগদানের সময়,বছরের প্রথম বীজবপন করার আগে ও নতুন কোন ব্যবসা শুরু করার আগে এই মুবারক নাম ১০১ বার পাঠ করে কাজ শুরু করলে আল্লাহর রহমতে সেই কাজে ভাল ফল লাভ করবে।
২০ ياعليم
হে মহাজ্ঞানী ইয়া য়ালিমু যে ব্যক্তি এই মুবারক নাম সর্বদা জিকির করে , তার গুনাহ মাফ হয়। সমস্ত জাগতীক মোহ বিনষ্ট হয়। আল্লাহ প্রদত্ত জ্ঞান পরিপূর্ণ হয়। অন্তর চক্ষুর অধিকারী হয়।
২১ ياقابض
হে আয়ত্বকারী ইয়া কাবেজু যদি কোন ব্যক্তি ৪০ দিন পর্যন্ত খাওয়ার প্রথম লুকমার রুটির উপর এই মুবারক নাম লিখে খায়, তাহলে জীবনে কখনো অন্নে কষ্ট পাবে না।
২২ ياباسط
হে কল্যাণ বর্ধক ইয়া বাসেতু প্রত্যেক মুনাজাতের সময় মুখে হাত মোছার পূর্বে ৩ বার এই মুবারক নাম পাঠ করে মুখে হাত মোছলে সে কখনো অন্যের মুখাপেক্ষী হবে না।
২৩ ياخافض
হে ক্রদ্ধ হওয়ার অধিকারী ইয়া খাফেজু কোন ব্যক্তি যদি ৫০০ বার এই মুবারক নাম পাঠ করে তাহলে মনের বাসনা পূর্ণ হয়। আর যদি ৭০০ বার পাঠ করে তাহলে শত্রুর অপকার থেকে রক্ষা পায়।
২৪ يارافع
হে উন্নতকারী ইয়া রাফেয়ু প্রত্যেক ওয়াক্তে নামাজান্তে যে ব্যক্তি এই মুবারক নাম ২৯ বার পাঠ করবে, ইনশাআল্লাহ তার কোন আশা অপূর্ণ থাকবে না।
২৫ يامعز
হে সম্মান দানের অধিকারী
ইয়া মুয়িজ্জু যে ব্যক্তি এই মুবারক নাম পাঠ করে সফরে বের হবে, সে ব্যক্তি আল্লাহর মেহেরবানীতে নিরাপদে বাড়ি ফিরবে।
২৬ يامذل
হে অপদস্তকারী
ইয়া মুজ্জিলু যাদের সন্তান মাতৃক্রোড়ে মারা যায়,তারা যদি এই পবিত্র নামের নকশা তামার পাত্রে খোদাই করে সন্তানের গলায় দেয়,তাহলে এই সন্তান মাতৃকায় দোষ থেকে নিরাপদে থাকবে।
২৭ ياسميع
হে শ্রবণকারী ইয়া সামিয়ু বৃহস্পতিবার চাশতের নামাজের পর কোনরুপ কথা বলা ব্যতীত যে ব্যক্তি ৬০০ বার এই মুবারক নাম পাঠ করবে, সে যে দোয়াই করবে কবুল হবে।
২৮ يابصير
হে সর্ব দর্শী ইয়া বাসিরু যে ব্যক্তি জুমার নামাজের পর এই নাম ১০০ বার পাঠ করবে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তা’য়ালা তার দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং তার দিলে ঈমানের আলো দান করবেন।
২৯ ياحكيم
হে আদেশকারী ইয়া হাকিমু এই পবিত্র নাম যে ব্যক্তি দিনের বেলায় জিকির করে, তার জন্য রাতের কাজ সমূহ সহজসাধ্য হয়ে যায়। আর যে ব্যক্তি রাতের বেলায় এই পবিত্র নামের জিকির করে তার জন্য দিনের বেলার কাজসমূহ সহজ সাধ্য হয়ে যায়।
৩০ ياعدل
হে ন্যায় বিচারক ইয়া আদলু যে ব্যক্তি বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত্রে বিশ টুকরা রুটির উপর এই মুবারক নাম লিখে ভক্ষণ করবে, ইনশাআল্লাহ দেশের সমস্ত লোক তার অনুগত থাকবে।
৩১ يالطيف
হে কোমল অন্তঃকরণময় ইয়া লাতীফু নির্দয় মনিবের দিকে তাকিয়ে দাস-দাসী অথবা চাকর-চাকরানী যদি এই মুবারক নাম পাঠ করে, তাহলে উক্ত মনিব তার প্রতি কোমল ও দয়াদ্র হয়ে উঠবে।
৩২ ياخبير
হে সর্বজ্ঞ
ইয়া খবীরু এই মুবারক নাম সদা সর্বদা জিকির করার দ্বারা খারাপ স্বভাব ও দুঃশ্চিন্তা দূর হয় এবং আল্লাহর সৃষ্টি সম্পর্কে অনেক গোপন তত্ত্বজ্ঞান লাভ হয়।
৩৩ ياحليم
হে স্থিতিশীল
ইয়া হালীমু যে ব্যক্তি প্রত্যহ ৭০ বার করে এই মুবারক নাম পাঠ করে, আল্লাহর রহমতে পাঠকারীর রূপ-গুণ, ধন-জন ও সর্দারী স্থায়ী থাকে। বিনষ্ট হয় না।
৩৪ ياعظيم
হে মহীয়ান
ইয়া আযীমু এই পবিত্র নাম যদি ৭ বার পাঠ করে পানিতে দম করে তা কোন পেটের পীড়াগ্রস্থ রোগীকে পান করায়, ইনশাআল্লাহ আল্লাহর রহমতে পেটের পিরা ভালো হয়ে যাবে।
৩৫ ياغفور
হে ক্ষমাশীল

ইয়া গাফুরু দেশে কলেরা বা বসন্ত রোগ দেখা দিলে দেশের যুবক শ্রেণীর ছেলেরা দল বেধে এলাকার ঘরে ঘরে এই পবিত্র নামের জিকির করলে ইনশাআল্লাহ দেশ থেকে মহামারী-রোগবালাই দূর হয়ে যাবে।
৩৬ ياشكور
হে কৃতজ্ঞতা পছন্দকারী ইয়া শাকূরু যদি কোন ব্যক্তির চোখে ছানি পড়ে, তাহলে এই মুবারক নাম ৪১ বার পাঠ করে পানিতে দম করে চোখে দিবে এবং কিছু পানি পান করবে। এভাবে ৭ দিন আমল করবে ইনশাআল্লাহ চোখের ছানি ভাল হয়ে যাবে।
৩৭ ياعلي
হে সমুন্নত সত্ত্বা
ইয়া আলিয়্যু এই পবিত্র নাম যে লোক সকাল-সন্ধ্যায় পাঠ করবে দুষ্ট লোকেরা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।
৩৮ ياكبير
হে মহিমান্বিত
ইয়া কাবীরু এই মুবারক নাম ৪১ বার পাঠ করে খাদ্য-দ্রব্যের উপর দম করে ঐ খাদ্য স্বামী-স্ত্রীকে খাওয়ালে উভয়ের মধ্যে অগাধ ভালোবাসা জন্ম হয়।
৩৯ ياحفيظ
হে সংরক্ষণকারী

ইয়া হাফীযু এই মুবারক নাম যদি কেউ ১০১ বার লিখে সঙ্গে রাখে তাহলে আমলকারীর পানিতে ডুবে মৃত্যু হবে না। বাঘ-ভাল্লুক আক্রমন করবে না। জীন-ভূত অনিষ্ট করে না।
৪০ يامقيت
হে শক্তিদাতা

ইয়া মুকীতু যদি রোযাদার ব্যক্তির রোযা পূর্ণ করতে কষ্ট অনুভব হয়, তাহলে সে ব্যক্তি একটি সুবাসিত ফুল নিয়ে তার উপরে এই মুবারক নাম ৭ বাব পাঠ করে দম দিবে এবং ফুলটির ঘ্রাণ নিতে থাকে, ইনশাআল্লাহ তার রোযার কষ্টানুভূতি দূর হয়ে যাবে।
৪১ ياحسيب
হে সকলের জন্য তিনি সচেষ্ট করনে ওয়ালা

ইয়া হাসিবু যে ব্যক্তি কোন লোক বা কোন বস্তু থেকে ভয় করবে সে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে আট দিন পর্যন্ত সকাল সন্ধ্যায় ৭০ বার করে এই নাম পড়লে ইনশাআল্লাহ সে সকল কিছুর অনিষ্ঠ থেকে নিরাপদ থাকবে।
৪২ ياجليل
হে পরাক্রমশালী ইয়া জালীলু যদি কোন মুসাফির যাত্রাপথে এই মুবারক নাম ১০ বার পাঠ করে নিজের মালসামানার উপর দম করে, আল্লাহর রহমতে সে ও তার মালসামানা চোর ডাকাতের হাত থেকে রক্ষা পাবে।
৪৩ ياكريم
হে উদার দাতা
ইয়া কারীমু যে ব্যক্তি প্রতিদিন এই নাম ঘুমানোর সময় পড়তে পড়তে ঘুমিয়ে যায়, আল্লাহ তা’য়ালা তাকে আলেম এবং নেকবান্দাদের মত সম্মান দান করবেন।
৪৪ يارقيب
হে পর্যবেক্ষণকারী

ইয়া রকীবু যে ব্যক্তি এই নাম সাত বার পড়ে তার সম্পদের উপর দম করবে ইনশাআল্লাহ তার সম্পদ হেফাজতে এবং নিরাপদে থাকবে।
৪৫ يامجيب
হে দোয়া কবুলকারী
ইয়া মুজিবু যে ব্যক্তি এই নামটি বেশি বেশি পড়বে আল্লাহ তা’য়ালা তার দোয়া কবুল করবেন।
৪৬ ياواسع
হে সর্বব্যাপী ইয়া ওয়াসিউ যে ব্যক্তি এই নাম বেশি বেশি পড়বে আল্লাহ তা’য়ালা তার বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ ঐশ^র্য বৃদ্ধি করে দিবেন এবং মনের প্রশস্ততা অর্জিত হবে।
৪৭ ياحكيم
হে মহাবিজ্ঞ ইয়া হাকীমু এই নামের জিকির করলে বিপদাপদ দূর হয় এবং জ্ঞান লাভের পথ প্রশস্ত হয়।
৪৮ ياودود
হে শ্রেষ্ঠ বন্ধু
ইয়া ওয়াদুদু এই মুবারক নাম এক হাজার বার পাঠ করে খাবারে দম করে তা স্ত্রীসহ ভক্ষণ করলে স্ত্রী স্বামীর বাধ্য হয়।
৪৯ يامجيد
হে সুমহান
ইয়া মাজেদু কুষ্ঠরোগী চাদের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রেখে ইফতারের সময় অধিক হারে এই নামের জিকির করলে ইনশাআল্লাহ কুষ্ঠরোগ ভাল হয়ে যাবে।
৫০ ياباعث
হে পুনরুত্থান কারী
ইয়া বাইছু শয়নকালে বুকের উপর হাত রেখে একশত বার এই নামের জিকির করলে অন্তর জ্ঞানবিজ্ঞানের আলোতে উদ্ভাসিত হবে।
৫১ ياشهيد
হে সর্ব সাক্ষী
ইয়া শাহীদু অবাধ্য সন্তান বা স্ত্রীর কপাল ধরে এই পবিত্র নাম পড়লে অথবা এক হাজার বার পড়ে দম করলে তারা বাধ্য হয়ে যাবে।
৫২ ياحق
হে সত্য সনাতন

ইয়া হাককু একটি চারকোনা কাগজের চার কোণে এই নামটি লিখে তা হাতের তালুতে নিয়ে শেষ রাত্রে কিছুক্ষণ আকাশের দিকে উঁচু করে ধরে রাখলে যাবতীয় সমস্যার সমাধান ও বিপদাপদ দূর হয়ে যায়।
৫৩ ياوكيل
হে ব্যবস্থাপক ইয়া ওয়াকীলু অধিক সংখ্যায় এই নামের জিকির করলে অভাব দূর হয়ে যায়।
৫৪ ياقوي
হে শক্তিধর ইয়া ক্বাওয়িয়্যূ সর্বদা এই নামের জিকির করলে কাপুরুষ ব্যক্তি সাহসী হয় এবং দুর্বল ব্যক্তি শক্তিশালী হয়।
৫৫ يامتين
হে দৃর সত্ত্বার অধিকারী অটল ইয়া মাতীনু এই মুবারক নাম পাঠ করে দুশ্চরিত্র পুরুষ বা মহিলার উপর দম করলে সে সৎচরিত্রবান হয়ে উঠবে।
৫৬ ياولي
হে মহা বন্ধু ইয়া ওয়ালীয়ু সর্বদা এই নামের জিকির করলে সকলের প্রিয় পাত্র হয়ে উঠবে। কোন বিপদে পতিত হলে শুক্রবার রাত্রে এই নামের জিকির করলে ইনশাআল্লাহ বিপদাপদ দূর হয়ে যাবে।
৫৭ ياحميد
হে প্রশংসিত
ইয়া হামীদু সর্বদা এই নামের জিকির করলে আমল-আখলাক স্বভাব-চরিত্র উন্নত হয়।
৫৮ يامحصي
হে সর্বজ্ঞানী

ইয়া মুহসী এই নাম ২০ বার পাঠ করে ২টি রুটির টুকরার উপর দম করে খেলে সকলেই বশীভূত হবে।
৫৯ يامبدئ
হে সৃষ্টির সূচনাকারী
ইয়া মুবদিয়ু শেষ রাতে এই নাম পাঠ করে গর্ভবতী স্ত্রীর পেটে দম করলে গর্ভ নষ্ট হয় না।
৬০ يامعيد
হে ফেরৎ দানকারী
ইয়া মুঈদু কিছু ভুলে গেলে এবং তা কোন ক্রমেই মনে না হলে শুধু এই নামটি বারবার জিকির করলে তা স্বরণ হয়ে যাবে।
৬১ يامحيي
হে জীবনদাতা
ইয়া মুহয়ী কারো সাথে বিচ্ছেদ ঘটার অথবা জেলে বন্দী থাকার আশংকা থাকলে সর্বদা এই মুবারক নামের জিকির করলে, আল্লাহর রহমতে পেরেশনী দূর হয়ে যাবে।
৬২ يامميت
হে মৃত্যু দাতা ইয়া মুমীতু কাহারো আল্লাহর হুকুম পালনে মন না আসলে বা মন না বসিলে সর্বদা এই জিকির পাঠ করবে।
৬৩ ياحي
হে চিরঞ্জীব ইয়া হায়্যু সর্বদা এই নামের জিকির করলে বা কোথাও লিখে তা ধুয়ে পানি পান করলে সর্বপ্রকার রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
৬৪ ياقيوم
হে চিরস্থায়ী ইয়া ক্বায়্যুমু শয়নকালে এই নামের জিকির করলে সুখনিদ্রা হয়।
৬৫ ياواجد
হে প্রাপক
ইয়া ওয়াজিদু এই নাম পাঠ করে খাওয়ার লোকমায় দম করলে হৃদয়ের শক্তি বৃদ্ধি পায়।
৬৬ ياماجد
হে গৌরবান্বিত
ইয়া মাজীদু এই পবিত্র নাম এক হাজার বার জিকির করলে মন থেকে দুনিয়ার মায়া মোহ দূর হয়ে যায়।
৬৭ ياواحد
হে একক ইয়া ওয়াহিদু সর্বদা এই নামের জিকির করলে অন্তর নূরানী হয়। আলোকিত হয়।
৬৮ ياصمد
হে অভাবহীন ইয়া সামাদু শেষ রাত্রে ১২০ বার এই নামের যিকির করলে সত্যবাদী ও ঈমানদার হওয়া যায়।
৬৯ ياقادر
হে সর্ব শক্তিমান ইয়া ক্বাদিরু দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে একশত বার এই পবিত্র নামের জিকির করলে প্রবল শক্তি অর্জিত হয়।
৭০ يامقتدر
হে মহা ক্ষমতাশালী ইয়া মুকতাদিরু ঘুম থেকে উঠার সময় অধিক হারে এই পবিত্র নামের জিকির করলে মনোবাঞ্ছা পূরণের পথ সহজ হয়।
৭১ يامقدم
হে অগ্রসরকারী ইয়া মুক্বাদ্দীমু যুদ্ধে বা মোকাবেলায় গিয়ে এই নাম অধিক হারে জিকির করলে শক্তিবৃদ্ধি পায় ও জয়লাভ হয়।
৭২ يامؤخر
হে বিলম্বকারী ইয়া মুয়াখখিরু প্রচুর সংখ্যায় এই মুবারক নামের জিকির করলে খারাপ কাজ থেকে তাওবা করার তাওফিক হয়।
৭৩ ياأول
হে আদি

ইয়া আওয়ালু মুসাফির ব্যক্তি প্রত্যেক শুক্রবার এক হাজার বার এই নামের জিকির করলে শীঘ্রই তার সফর শেষ হবে এবং নিজ পরিবার পরিজনের সাথে মিলিত হতে পারবে।
৭৪ ياآخر
হে অন্ত
ইয়া আখিরু প্রত্যহ এক হাজার বার এই পবিত্র নামের জিকির করলে অন্তর থেকে আল্লাহ তা’য়ালা ব্যতীত আর সবকিছুর খেয়াল দূর হয়ে যাবে।
৭৫ ياظاهر
হে প্রতীয়মান
ইয়া যাহিরু এশরাকের সময় অধিক সংখ্যায় এই পবিত্র নামের জিকির করলে অন্তর খোদার নূরে দীপ্ত হবে।
৭৬ ياباطن
হে অপ্রকাশ্য স্বত্তা
ইয়া বাতিনু প্রত্যহ ৩৩ বার এক ঘন্টা করে এই নাম জিকির করলে খোদার প্রেম লাভ হয়।
৭৭ ياوالي
হে অধিপতী ইয়া ওয়ালী অধিক বার এই নামের জিকির করলে বিদ্যুৎ ও বজ্রপাত থেকে নিরাপদ থাকবে।
৭৮ يامتعالي
হে মহা উন্নত ইয়া মুতায়ালি সর্বদা এই নামের জিকির করলে উচ্চ মর্যাদা লাভ ও সংশোধন হয়।
৭৯ يابر
হে মঙ্গল দাতা ইয়া বাররু এই নাম ৭ বার পাঠ করে শিশুর উপর দম করলে সে নেককার ও চরিত্রবান হবে।
৮০ ياتواب
হে তাওবা কবুলকারী
ইয়া তাওয়াবু চাশত নামাজের পর ৩৬০ বার এই নামের জিকির করলে তাওবার তাওফিক লাভ হয়।
৮১ يامنتقم
হে প্রতিশোধ গ্রহণকারী
ইয়া মুনতাকিমু শত্রুর শত্রুতার প্রতিশোধ নিতে সক্ষম না হলে অনবরত এই মুবারক নামের জিকির করবে, ইনশাআল্লাহ স্বয়ং আল্লাহ তায়ালাই শত্রুর নিকট থেকে তার প্রতিশোধ গ্রহণ করবেন।
৮২ ياعفو
হে ক্ষমাকারী ইয়া আফুউউ এই নাম সর্বদা জিকির করলে গুনাহ মাফ ও আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ হয়।
৮৩ يارؤوف
হে অত্যন্ত দয়ালু ইয়া রাউফু নিজের বা অন্য কারো রাগের সময় দশবার এই নাম পড়ে দশবার দুরুদ শরীফ পড়লে রাগ যতই হোক না কেন সঙ্গে সঙ্গে দমন হয়ে যাবে।
৮৪ يامالك الملك
হে বিশ^জগতের মালিক
ইয়া মালিকুল মুলকি যে ব্যক্তি প্রত্যহ এই মুবারক নাম ১০০ বার করে প্রতি নামাজান্তে পাঠ করবে আল্লাহর রহমতে পাঠকারী অতিসত্বর ধনে-জনে স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়ে উঠবে।
৮৫ ياذو الجلال والإكرام
হে মহত্ব ও গৌরবের অধিকারী

ইয়া যুলজালালি ওয়াল ইকরাম আল্লাহ তা’য়ালার সিফতি নামসমূহের মধ্যে এই যুক্ত মুবারক নাম অতীব গুরুত্বপূর্ণ নাম। আধ্যাতিক জগতের সাধকগণের ধারণা যে এটাই ইসমে আজম। এ জন্যই এ নামের জিকির দ্বারা তারা ইহকালীন-পরকালীন যাবতীয় সম্মান হাসিল করে থাকেন।
৮৬ يامقسط
হে ন্যায় পরায়ণ
ইয়া মুকসিতু সর্বদা এই নামের জিকির করলে আল্লাহ তা’য়ালার ইবাদত বন্দেগী করতে গিয়ে মনে খারাপ চিন্তা আসে না।
৮৭ ياجامع
হে একত্রকারী ইয়া জামেয়ু সর্বদা এই নামের জিকির করলে আতী¥য় স্বজন বন্ধু-বান্ধবের সাথে মিল থাকে।
৮৮ ياغني
হে ঐশ^র্যশালী ইয়া গনীয়ু কোন রোগ বা বিপদের সময় এই নামের জিকির করলে তা দূর হয়।
৮৯ يامغني
হে ঐশ^র্য দানকারী
ইয়া মুগনীয়ু এক হাজার বার এই নাম জিকির করলে ধন-ঐশ^র্য লাভ হয়।
৯০ يامانع
হে নিবারক
ইয়া মানিউ কারো কোন উদ্দেশ্য সিদ্ধ না হলে সকাল-বিকাল আল্লাহর এই নামের জিকির করবে ইনশাআল্লাহ অতিশীঘ্রই তার উদ্দেশ্য হাসিল হবে।
৯১ ياضار
হে অনিষ্ঠ দানকারী ইয়া যা-ররু প্রত্যেক শুক্রবার রাত্রে একশত বার করে এই পবিত্র নামের জিকির করলে সর্ব প্রকার ক্ষয়ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকবে।
৯২ يانافع
হে উপকার দাতা

ইয়া নাফেউ কোন জিনিসের দ্বারা লাভবান হওয়ার বাসনা থাকলে মনে মনে এই নামের জিকির করবে আল্লাহ তা’য়ালার ফজলে বাসনা পূর্ণ হবে এবং অধিক পরিমাণে লাভবান হবে।
৯৩ يانور
হে জ্যোতি আলো
ইয়া নূরু আল্লাহ তা’য়ালার এই পবিত্র ও গৌরবময় নামটি সর্বদা জিকির করলে অন্তর নূর দ্বারা নূরান্বিত হয়।
৯৪ ياهادي
হে সৎ পথ প্রদর্শক
ইয়া হাদী-উ এই নামের জিকির করলে বা লিখে সঙ্গে রাখলে সুষ্ঠু জ্ঞান-বুদ্ধি, দূরদর্শিতা ও নিভর্ূুল সিদ্ধান্ত করার ক্ষমতা লাভ হয় এবং ভূলভ্রান্তি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
৯৫ يابديع
হে অভিনব সৃষ্টিকারী
ইয়া বাদীউ এই পবিত্র নাম এক হাজার বার পাঠ করলে অনায়াসে সর্বপ্রকার প্রয়োজন মিটবে এবং সর্বপ্রকার ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে।
৯৬ ياباقي
হে চির বিরাজমান
ইয়া বাকী আল্লাহ তা’য়ালার এই পবিত্র নামটি মনোযোগের সাথে এক হাজার বার পাঠ করলে ইনশাআল্লাহ সর্বপ্রকার দুঃখ-কষ্ট ও চিন্তা-ক্লেশ থেকে মুক্তি পাবে।
৯৭ ياوارث
হে সত্ত্বাধিকারী

ইয়া ওয়ারিসু যদি কোন ব্যক্তি চন্দ্র মাসের পথম তারিখে এই মুবারক নাম এক বৈঠকে এক হাজার বার পাঠ করে, তাহলে ইনশাআল্লাহ সে ব্যক্তি তার বংশের সবার চেয়ে বেশি হায়াতের মালিক হবে।
৯৮ يارشيد
হে সৎ পথ প্রদর্শক
ইয়া রাশীদু যে সমস্ত ছেলেমেয়ে বেনামাজি এবং পিতা-মাতার অবাধ্য, পিতা-মাতা যদি সে সমস্ত সন্তানের চোখে চোখ রেখে এই মুবারক নাম পাঠ করে, ইনশাআল্লাহ তারা নামাজি হয়ে উঠবে এবং পিতামাতার বাধ্য সন্তানে পরিণত হবে।
৯৯ ياصبور
হে ধৈর্যশীল

ইয়া সাবুরু যদি কোন পিতা-মাতা অল্প বয়সে মারা যায়, আর তারা যদি শোকে অস্থির হয়ে যায়। তাহলে উক্ত মুবারক নাম কোন পরহেযগার লোকের দ্বারা এক হাজার বার পড়িয়ে পানিতে দম করে ঐ পানি তারা পান করলে ইনশাআল্লাহ শোক-তাপ নিবারণ হবে এবং অন্তরে প্রশান্তি নেমে আসবে।
(হিসনে হাসীন)

সুরা ফাতেহার ফজিলত

عن أنس بن مالك رضي الله عنه قال : كان النبي صلى الله عليه و سلم في مسير فنزل و نزل رجل إلى جانبه قال : فالتفت النبي صلى الله عليه و سلم فقال : ألا أخبرك بأفضل القرآن قال : فتلا عليه { الحمد لله رب العالمين }

১) হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা কোন সফরে ছিলেন। হঠাৎ তিনি সফর বিরতি করলেন এবং তার সাথে আরো এক লোকও করল। তাই আমি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দিকে মনোনিবেশ হই তখন তিনি বলেন, আমি কি তোমাকে কুরআনের সব থেকে মর্যাদাবান সুরার সংবাদ দিব না? অত:পর তিনি তেলাওয়াত আরম্ভ করলেন, আলহামদু লিল্লাহি রব্বিল আলামিন…।
(মুসতাদরাকে হাকেম)

২)
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- ্র (الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ) أُمُّ الْقُرْآنِ وَأُمُّ الْكِتَابِ وَالسَّبْعُ الْمَثَانِى গ্ধ.
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সুরা ফাতেহা হলো উম্মুল কুরআন। উম্মুল কিতাব এবং বারবার পঠিত সাতটি আয়াত।
(আবু দাউদ)

عن أبي هريرة عن النبي صلى الله عليه و سلم قال قال الله تعالى قسمت الصلاة بيني وبين عبدي نصفين ولعبدي ما سأل فإذا قال العبد الحمد لله رب العالمين قال الله تعالى حمدني عبدي وإذا قال الرحمن الرحيم قال الله تعالى أثنى علي عبدي وإذا قال مالك يوم الدين قال مجدني عبدي ( وقال مرة فوض إلى عبدي ) فإذا قال إياك نعبد وإياك نستعين قال هذا بيني وبين عبدي ولعبدي ما سأل فإذا قال اهدنا الصراط المستقيم صراط الذين أنعمت عليهم غير المغضوب عليهم ولا الضالين قال هذا لعبدي ولعبدي ما سأل.

৩) হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেনন, আমি আমার এবং আমার বন্দাদের মধ্যে সালাতকে (অর্থাৎ সুরা ফাতেহাকে) ভাগ করে নিয়েছি। তোমরা সুরা ফাতেহা পাঠ কর। বান্দা যখন বলে, “আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামীন” তখন আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে। অত:পর বান্দা যখন বলে, “আর রাহমানির রাহিম” তখন আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমার বান্দা আমার গুনগান করেছে। বান্দা যখন বলে “মালিকি ইয়াও মিদ্দীন” তখন আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমার বান্দা আমাকে সম্মান প্রদর্শন করেছে। অত:পর বান্দা যখন বলে “ইয়্যা কা না’ বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতায়িন” আল্লাহ তায়ালা বলেন, এটা আমার এবং আমার বান্দার মধ্যেই সীমিত। আর আমার বান্দা যা প্রার্থনা করছে তাই তাকে দেওয়া হবে। অত:পর বান্দা যখন বলে, “ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকিম। সিরাতাল লাজিনা আনআমতা আলাই হিম গায়রিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়া লাদ দ-ললিন” তখন আল্লাহ তায়ালা বলেন- এর সবই আমার বান্দার জন্য। আমার বান্দা আমার কাছে যা চেয়েছে তাকে তা-ই দেওয়া হবে।
(সহীহ মুসলীম)

عن أبي سعيد : أن رهطا من أصحاب رسول الله صلى الله عليه و سلم انطلقوا في سفرة سافروها حتى نزلوا بحي من أحياء العرب فاستضافوهم فأبوا أنيضيفوهم فلدغ سيد ذلك الحي فسعوا له بكل شيء لا ينفعه شيء فقال بعضهم لو أتيتم هؤلاء الرهط الذين قد نزلوا بكم لعله أن يكون عند بعضهم شيء فأتوهم فقالوا يا أيها الرهط إن سيدنا لدغ فسعينا له بكل شيء لا ينفعه شيء فهل عند أحد منكم شيء ؟ فقال بعضهم نعم والله إني لراق ولكن والله لقد استضفناكم فلم تضيفونا فما أنا براق لكم حتى تجعلوا لنا جعلا فصالحوهم على قطيع من الغنم فانطلق فجعل يتفل ويقرأ { الحمد لله رب العالمين } . حتى لكأنما نشط من عقال فانطلق يمشي ما به قلبة قال فأوفوهم جعلهم الذي صالحوهم عليه فقال بعضهم اقسموا فقال الذي رقى لا تفعلوا حتى نأتي رسول الله صلى الله عليه و سلم فنذكر له الذي كان فننظر ما يأمرنا فقدموا على رسول الله صلى الله عليه و سلم فذكروا له فقال ( وما يدريك أنها رقية ؟ أصبتم اقسموا واضربوا لي معكم بسهم )

হযরত আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে একদিন একটি সামরিক অভিযানে প্রেরণ করেন। আমরা একটি জনপদে পৌঁছে তাদের মেহমানদারি প্রার্থনা করলাম। কিন্তু তারা আমাদের মেহমানদারি করলো না। এমতাবস্থায় তাদের গোত্র প্রধানকে কিছু একটা দংশন করে। তারা আমাদের কাছে এসে বলে তোমাদের মধ্যে বিচ্ছু দংশনকারীকে ঝাড়ফুঁক করার মতো কোন লোক আছে কি? আমি বললাম হ্যাঁ, আমি নিজেই। কিন্তু তোমরা আমাদেরকে এক পাল বকরি না দিলে আমি ঝাড় ফুঁক করতে রাজি না। তারা বললো আমরা তোমাদেরকে ত্রিশটি বকরি দিবো। আমরা এ প্রস্তাবে সম্মত হলাম। আমি সাত বার সুরা ফাতেহা পড়ে তাকে ঝাড়ফুঁক করলাম। ফলে সে দংশন মুক্ত হলো। এবং আমরা বকরিগুলো হস্তগত করলাম। কিন্তু এ ব্যাপারে আমাদের মনে সন্দেহ জাগলো কাজেই আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত না হওয়া পর্যন্ত তাড়াহুড়া করলাম না। অত:পর আমরা তার কাছে উপস্থিত হলে আমি যা করেছি তা তাকে জানালাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এটা যে রুক্বিয়াহ (ঝাড়ফুঁক দেওয়ার সুরা) তা তুমি কেমন করে জানলে? বকরি গুলো হস্তগত কর এবং তোমাদের সাথে আমার জন্যও একটি অংশ দিও।
(সহীহ বুখারী)

সুরা বাকারার ফজিলত

১) হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ঘরে সুরা বাকারা পড়া হয় সে ঘর থেকে শয়তান অবশ্যই বের হয়ে যায়।
২) অন্য হাদীসে আছে- হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ঘরে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পড়া হয় ঐ ঘরে তিন দিন পর্যন্ত শয়তান প্রবেশ করতে পারে না।
(তিরমিযি শরীফ)
সুরা কাহাফের ফজিলত
হযরত আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০আয়াত মুখস্থ করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে দাজ্জালের ফেৎনা থেকে মুক্তি দান করবেন।
(মুসলীম শরীফ)
সুরা ইখলাসের ফজিলত
১) এ সুরা এ বার পাঠ করলে কুরআন শরীফের এক তৃতীয়াংশ পাঠ করার সওয়াব পাওয়া যায়। সুতরাং যে ব্যক্তি এই সুরা তিন বার পড়বে সে এক খতম কুরআন শরীফ পড়ার সওয়াব পাবে।
(বুখারী শরীফ)
عن أنس عن النبى صلى الله عليه وسم قال من قرأ كل يوم مائتى مرة قل هو الله أحد محى عنه ذنوبه خمسين سنة إلا أن يكون عليه دين
অর্থ:- হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি প্রতিদিন সুরা ইখলাস ১০০ বার তিলাওয়াত করবে আল্লাহ তায়ালা তার পঁঞ্চাশ (৫০) বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। তবে করজ ব্যতীত।
(তিরমিযি শরীফ)

আয়াতুল কুরসির ফজিলত

اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لَاتَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلَا نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِندَهُ إِلَّا بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلَا يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلَّا بِمَا شَاءَ وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ وَلَا يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيمُ ﴿البقرة: ٢٥٥﴾

আয়াতুল কুরসি সকাল সন্ধ্যা সম্ভব হলে প্রতি ওয়াক্তের ফরজ নামাজ পড়ার পর পড়বে।

উচ্চারণ:- আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম। লা তা’ খুযুহু সিনাতুউ ওয়ালা নাওম। লাহু মা ফিস সামাওয়াতি ওয়মাফিল আরদ। মান যাল্লাজি ইয়াস ফাউ ইনদাহু ইল্লা বিইজনিহ। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওমা খলফাহুম। ওয়ালা ইয়ুহিতুনা বিসাইয়িম মিন ইলমিহি ইল্লা বিমাশা-আ। ওয়াসিয়া কুরসিইয়ুহুস সামা ওয়াতি ওয়াল আরদ। ওয়ালা ইয়ায়ুদুহু হিফজু হুমা ওয়া হুয়াল আলিয়্যুল আজিম।

ফাযদা:-

১) হাদীস শরীফে আছে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে সর্বপ্রকার বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবেন।
২) শয়তান ওয়াদা করেছে, যে ব্যক্তি আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে তার ভিতর আমি প্রবেশ করতে পারি না।
৩) হাদীসে বর্ণিত আছে যে, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি এ আমলটি নিয়মিতভাবে করবে অর্থাৎ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পর পাঠ করবে তার মাঝে আর জান্নাতের মাঝে দূরত্ব হলো তার মৃত্যু বরণ করা। মৃত্যুবরণ করার সাথে সাথে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

সুরা ইয়াসিনের ফজিলত

عن أنس أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال من دخل المقابر فقرأ سورة يس خفف الله عنهم وكان له بعدد من فيها حسنات

১) অর্থ:- হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি কবরস্থানে প্রবেশ করে সুরায়ে ইয়াসিন তেলাওয়াত করে আল্লাহ তায়ালা এর উসিলায় কবরবাসীদের আযাব হালকা করে দেন এবং মৃতদের পরিমাণ তারও নেকি লাভ হয়।
(তুহফাতুল আহওয়াযি)
عن ابى بكر الصديق رضى الله تعالى عنه قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من زار قبر والديه أو احدهما فقرأ عنده أو عندهما يس غفر له
২) অর্থ:- হযরত আবু বকর সিদ্দিক রা. থেকে বর্ণিত হুজুর সা. বলেন যে ব্যক্তি পিতা-মাতা উভয়ের বা কোন একজনের কবর যিয়ারত করতঃ সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করে আল্লাহ তায়ালা (এর ওসিলায়) তাকে মাফ করে দেন।
(উমদাতুল কারী)
عن عطاء بن أبى رباح بلغنى أن رسول الله صلي الله عليه وسلم قال من قرأ يس فى صدر النهار قضيت حوائجه
৩) অর্থ:- হযরত আতা ইবনে রাবাহ রা. থেকে বর্ণিত। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি দিনের শুরুতে সুরা ইয়াসিন পড়বে আল্লাহ তায়ালা তার হাজত পুরা করে দিবেন।
৪) হযরত আনাস রা. থেকে বর্ণিত। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এ সুরা একবার পাঠ করলে ১০ খতম কুরআন তেলাওয়াতের সওয়াব পাওয়া যায়। (তিরমিযি শরীফ)
সুরা মুলকের ফজিলত
১) হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি রাতে সুরা মুলক তেলাওয়াত করবে এ সুরা কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালার কাছে তার জন্য সুপারিশ করবে।
عن عبد الله بن مسعود قال من قرأ تبارك الذى بيده الملك كل ليلة منعه الله عزوجل بها من عذاب القبر وكنا فى عهد رسول الله صلى الله عليه وسلم نسميها المانعة .
২) অর্থ:- ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে ব্যক্তি প্রতি রাতে সুরা মুলক পড়বে আল্লাহ তায়ালা তাকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যামানায় আমরা এ সুরাকে মানেয়া বা কবরের আজাব প্রতিহতকারী বলে সম্মোধন করতাম।
(ফতোয়ায়ে তাতারখানিয়া)
عن ابن مسعود قال سورة تبارك هي المانعة تمنع بإذن الله من عذاب القبر أتي رجل من قبل رأسه قال : لا سبيل لكم علي إنه قد كان وعى في سورة الملك وأتي من قبل رجليه فقالت رجلاه لا سبيل لكم علي إنه كان يقوم بي بسورة الملك
২) ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, “সুরায়ে মুলক” কবরের আজাব থেকে রক্ষা করে। (এভাবে যে) কবরস্থ ব্যক্তির কাছে মাথার দিক দিয়ে আসলে মাথা বলবে আমার দিক দিয়ে আসার কোন সুযোগ নেই। কারণ, সে সুরায়ে মুলক মাথায় রেখে তেলাওয়াত করত। বুকের দিক দিয়ে আসলে বুক বলবে আমার দিক দিয়ে আসার কোন সুযোগ নেই। কেননা সে সুরায়ে মুলক আমার মধ্যে ধারণ করে ছিল। পায়ের দিক দিয়ে আসলে পা বলবে আমার দিক দিয়ে আসার কোন রাস্তা নেই। কেননা সে আমার উপর ভর দিয়ে সুরা মুলক তেলাওয়াত করতো।
(কানজুল উম্মাল)

সুরা সেজদার ফজিলত

.عن جابر رضى الله أن النبى صلى الله عليه وسلم كان لاينام حتى يقرأ ألم تنزيل وتبارك الذى بيده الملك

১) অর্থ:- হযরত জাবের রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ততক্ষন পর্যন্ত ঘুমাতেন না, যতক্ষন পর্যন্ত সুরা “আলিফ লাম মিম” অর্থাৎ সুরা সেজদা এবং “সুরা মুলক” না পড়তেন।
(তিরমিযি শরীফ)

২) হযরত খালেদ বিন মাদাল রা. বলেন, সুরায়ে সিজদা নিশ্চয় কবরস্থ ব্যক্তির জন্য কবরের আযাবের বিপক্ষে লড়াই করবে এবং বলবে হে আল্লাহ আমি যদি তোমার কুরআনের অংশ হয়ে থাকি তাহলে আমার সুপারিশ কবুল কর। অন্যথায় আমাকে তোমার কুরআন থেকে মুছে দাও। এই সুরা পাখির মত দুই ডানা দিয়ে কবরস্থ ব্যক্তিকে হেফাজত করবে। যেমন ফুটন্ত বাচ্চার মা (মুরগি চিলের আক্রমণ থেকে) তার বাচ্চাকে রক্ষা করে। (সুরায়ে মুলক সম্পর্কেও এমনটিই বর্ণিত হয়েছে) তাই খালেদ বিন মাদান রা. প্রতি রাতে এ দুটি সুরা পড়ে ঘুমাতেন।
(সুনানে দারেমী)
সুরা ওকিয়ার ফজিলত
عن ابن مسعود قال سمعت رسول الله صلى الله عليه و سلم يقول :من قرأ سورة الواقعة في كل ليلة لم تصبه فاقة أبدا.
অর্থ:- হযরত ইবনে মাসউদ রা. থেকে বর্ণিত হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি প্রতিরাতে সুরা ওয়াকিয়াহ তেলাওয়াত করবে দারিদ্র কখনো তাকে স্পর্শ করবে না। ইবনে মাসউদ রা. তার মেয়েদেরকে প্রতিরাতে সুরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করতে বলতেন।

ঘটনা: একবার হযরত ইবনে মাসউদের রা. অসুস্থতার সময় হযরত উসমান রা. তাকে দেখতে যান। এরপর যখন উসমান রা. ইবনে মাসউদ রা. কে বললেন আমি কি আপনার জন্য বাইতুলমাল থেকে ভাতার ব্যবস্থা করে দিবো? তখন ইবনে মাসউদ রা. বললেন, প্রয়োজন নাই। তখন উসমান রা. বললেন এই ভাতা আপনার মেয়েদের উপকারে আসবে। তখন তিনি বললেন, কেন আমার মেয়েরা কি সুরা ওয়াকিয়া তেলাওয়াত করে না!
(আন নুজুমু হাওলির রাসূল)

সকাল-সন্ধ্যার দোয়াসমূহ

সর্বপ্রকার বিপদাপদ থেকে রক্ষা পাবার আমল

بِسْمِ اللهِ الَّذِيْ لَاْ يَضُرُّ مَعَ اِسْمِهِ شَيْءٌ فِيْ اَلْأَرْضِ وَلَاْ فِيْ اَلْسَّمَاْءِ وَهُوَ اَلْسَّمِيْعُ اَلْعَلِيْمُ
উচ্চারণ:- বিসমিল্লা হিল্লাযি লা ইয়া জুররু মায়াসমিহি শাইয়ুন ফিল আরযি ওয়ালা ফিস সামায়ি ওয়া হুয়াস সামিয়ুল য়ালিম।


عن عثمان بن عفان رضي الله عنه يقول قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ما من عبد يقول في صباح كل يوم ومساء كل ليلة بسم الله الذي لا يضر مع اسمه شيء في الأرض ولا في السماء وهو السميع العليم ثلاث مرات لم يضر بشيء

ফায়দা:- উসমান বিন আফ্ফান রা. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সকাল সন্ধ্যায়‘বিসমিল্লা হিল্লাযি লা ইয়া জুররু মায়াস্মিহি শাইয়ুন ফিল্ আরযি ওয়ালা ফিস্ সামায়ি ওয়াহুয়াস্ সামিয়ুল আলিম’ এই দোয়াটি তিন (৩) বার পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে সর্ব প্রকার বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করবেন।
(তিরমিযি শরীফ)

সাপ-বিচ্ছুর অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাবার আমল

أَعُوْذُ بِكَلِمَاْتِ اللهِ اَلْتَّاْمَّاْتِ مِنْ شَرِّ مَاْ خَلَقَ
উচ্চারণ:- আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত্তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক।
عن أبى هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال : ” من قال حين يمسى ثلاث مرات أعوذ بكلمات الله التامات من شر ما خلق لميضره حمة تلك الليلة “
ফায়দা:- আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সকাল সন্ধ্যায় ‘আউজু বিকালিমাতিল্লাহিত্তাম্মাতি মিন শাররি মা খালাক’ দোয়াটি তিন বার পাঠ করবে আল্লাহ তায়ালা তাকে সর্বপ্রকার মাখলুকের অনিষ্ট বিশেষ করে সাপ বিচ্ছু ইত্যাদির অনিষ্ট থেকে রক্ষা করবেন।
(তিরমিযি শরীফ)

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত তেলাওয়াতের ফজিলত

সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত সকাল ও সন্ধ্যায় পাঠ করবে।
প্রথমে তিন বার-
اَعُوْذُ بِاللهِ اَلْسَّمِيْعِ اَلْعَلِيْمِ مِنَ اَلْشَّيْطَاْنِ اَلْرَّجِيْمِ
(উচ্চারণ:- আয়ুজুবিল্লাহিস সামিয়ীল য়ালিমি মিনাশ শাইত্বানির রজিম) পাঠ করবে। এরপর সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পাঠ করবে।
هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ ۖ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ ۖ هُوَ الرَّحْمَٰنُ الرَّحِيمُ
هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ ۚ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ
هُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ ۖ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَىٰ ۚ يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ ۖ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ
উচ্চরণ:- হুআল্লা হুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহু। আলিমুল গাইবি ওয়াশ শাহাদাতি হুআর রাহমানুর রাহিম। হুআল্লাহুল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হু। আল মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। সুবহানাল্লাহি আম্মা য়ুশরিকুন। হুআল্লাহুল খালিকুল বারিউল মুসাওয়িরু লাহুল আসমা উল হুসনা। য়ুসাব্বিহু লাহু মা ফিসসামাওয়াতি ওয়াল আরজ। ওয়া হুআল আজিজুল হাকিম।
عن معقل بن يسار عن النبى صلى الله عليه وسلم قال من قال حين يصبح ثلاث مرات أعوذ بالله السميع العليم من الشيطان الرجيم فقرأ ثلاث أيات من أخر سورة حشر وكل الله به سبعين الف ملك يصلون عليه حتى يمشى وان مات فى ذلك اليوم مات شهيدا ومن قالها حين يمسى كان بتلك المنزلة
ফায়দা:- হযরত মাকাল ইবনে ইয়াসার রা. বলেন, যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় اعوذبالله সহ সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত পড়বে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য ৭০ হাজার ফেরেশতা নিযুক্ত করে দেন যারা তার জন্য রহমতের দোয়া করে এবং গুনাহ মাফ চায় এবং উক্ত ব্যক্তি যদি দিনে কিংবা রাতে মারা যায় তাহলে সে শহিদী মর্যদা লাভ করে।
(মেশকাত শরীফ)

কেয়ামতের দিন খুশি ও স্বস্তিতে থাকার আমল

رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالإِسْلاَمِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولاً
উচ্চারণ:- রাজিতু বিল্লাহি রব্বা। ওয়াবিল ইসলামী দ্বীনা। ওয়াবি মুহাম্মাদিন (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রাসূলা।
عن ثوبان رضي الله عنه قال – قال رسول الله صلى الله عليه و سلم من قال حين يمسي رضيت بالله ربا وبالإسلام دينا وبمحمد نبيا كان حقا على الله أن يرضيه
ফায়দা:- সাওবান রা. থেকে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি সন্ধ্যায়‘রজিতু বিল্লাহি রব্বা। ওবিল ইসলামী দ্বীনা। ওয়াবি মুহাম্মাদিন (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) রাসূলা’ দোয়াটি তিনবার করে পাঠ করবে তার উপর আল্লাহর হক হলো কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়ালা তাকে খুশি এবং সন্তুষ্ট করে দিবেন।

বিপদ থেকে আত্মরক্ষার আমল

يَاْ حَيُّ يَاْ قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ أَسْتَغِيْثُ اصلحلي شاني كله ولا تكلني الي نفسي ترفتعين
উচ্চারণ:- ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম বি রহমাতিকা আসতাগিস। আসলিহলি সানি কুল্লাহু ওয়ালা তাকিলনি ইলা নফসি তরফাতি য়াইনিন।
ফায়দা:- বিপদের সময় সেজদায় গিয়ে এই দোয়া পরলে আশা করা যায় আল্লাহ তায়ালা ঐ বিপদ থেকে রক্ষা করবেন। কারণ হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদর যুদ্ধে সিজদায় গিয়ে এই দোয়া পড়ার কারণে বিজয় অর্জন হয়েছে।
(জামেয়ুস সগীর)

সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার


اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِر لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ.
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা আনতা রব্বি লা ইলা হা ইল্লা আনতা। খলাকতানি ওআনা আবদুকা ও আনা য়ালা আহদিকা ও ওয়ায়দিকা মাসততায়তু। আয়ুজুবিকা মিন শাররি মা সনায়তু আবুও লাকা বিনিয়মাতিকা য়ালাইয়া ও আবুয়ু বি জানবি ফাগফিরলি ফাইন্নাকা লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আনতা।
حَدَّثَنِي شَدَّادُ بْنُ أَوْسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ سَيِّدُ الِاسْتِغْفَارِ أَنْ تَقُولَ قَالَ وَمَنْ قَالَهَا مِنْ النَّهَارِ مُوقِنًا بِهَا فَمَاتَ مِنْ يَوْمِهِ قَبْلَ أَنْ يُمْسِيَ فَهُوَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ وَمَنْ قَالَهَا مِنْ اللَّيْلِ وَهُوَ مُوقِنٌ بِهَا فَمَاتَ قَبْلَ أَنْ يُصْبِحَ فَهُوَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ
ফায়দা:- ১) হাদীস শরীফে আছে আউস ইবনে শাদ্দাদ রা, থেকে বর্ণিত নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি এই ইস্তেগফারটি দিনে বা রাতে একিনের সাথে একবার পড়বে। তাহলে সে যদি ঐ দিনে বা রাতে মৃত্যু বরণ করে সে অবশ্যই জান্নাতে যাবে। (মারা যাওয়ার সাথে সাথে)
(বুখারী শরীফ)
২) হাদীস শরীফে এই ইস্তেগফাকে স্যাইয়েদুল ইস্তেগফার (বড়, সবচেয়ে বড়) বলা হয়েছে।

সকল চিন্তা ও পেরেশানি থেকে রক্ষা পাওয়ার আমল


حَسْبِيَ اللَّهُ لَا إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُو رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
উচ্চারণ:- হাসবি আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওহুয়া রাব্বুল আরশিল য়াজিম।
عَنْ أَبِى الدَّرْدَاءِ رضى الله عنه قَالَ مَنْ قَالَ إِذَا أَصْبَحَ وَإِذَا أَمْسَى حَسْبِىَ اللَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ سَبْعَ مَرَّاتٍ كَفَاهُ اللَّهُ مَا أَهَمَّهُ صَادِقًا كَانَ بِهَا أَوْ كَاذِبًا.
ফায়দা:- হাদীস শরীফে আছে:- আবু দারদা রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, যে ব্যক্তি সকাল সন্ধ্যা‘হাসবি আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওহুয়া রব্বুল আরশিল য়াজিম’ এই দোয়াটি ৭ বার পড়বে আল্লাহ তায়ালা তাকে দুনিয়া ও আখেরাতের সমস্ত চিন্তা-পেরেশানী থেকে রক্ষা করবেন।
(আবু দাউদ)

এই তাসবিহটি বেশি বেশি পড়বে


سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ
উচ্চারণ:- সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহি সুবহানাল্লাহিল য়াজিম।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَلِمَتَانِ حَبِيبَتَانِ إِلَى الرَّحْمَنِ خَفِيفَتَانِ عَلَى اللِّسَانِ ثَقِيلَتَانِ فِي الْمِيزَانِ سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ الْعَظِيمِ
ফায়দা:- হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন দুটি বাক্য আছে যা মুখে বলা খুবই সহজ এবং আল্লাহর কাছে খুবই প্রিয়। কিন্তু দাড়িপাল্লায় অনেক অনেক ভারি। (তাই বেশি বেশি পড়বে।)
(বুখারী শরীফ)

ঋণ পরিশোধ করা এবং চিন্তা ফিকির দূর করার দোয়া


اللَّهُمَّ إِنِّى أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা ইন্নি আয়ুজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুজনি ওয়া আয়ুজুবিকা মিনাল আজযি ওয়াল কাসাল। ওয়া আয়ুজুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখল। ওয়া আয়ুজুবিকা মিন গলাবাতিদ দাই নি ওয়া কাহরির রিজাল।
فَقَالَ ্র يَا أَبَا أُمَامَةَ مَا لِى أَرَاكَ جَالِسًا فِى الْمَسْجِدِ فِى غَيْرِ وَقْتِ الصَّلاَةِ গ্ধ. قَالَ هُمُومٌ لَزِمَتْنِى وَدُيُونٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ ্র أَفَلاَ أُعَلِّمُكَ كَلاَمًا إِذَا أَنْتَ قُلْتَهُ أَذْهَبَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ هَمَّكَ وَقَضَى عَنْكَ دَيْنَكَ গ্ধ. قَالَ قُلْتُ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ ্র قُلْ إِذَا أَصْبَحْتَ وَإِذَا أَمْسَيْتَ اللَّهُمَّ إِنِّى أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَأَعُوذُ بِكَ مِنْ غَلَبَةِ الدَّيْنِ وَقَهْرِ الرِّجَالِ গ্ধ.
ফায়দা:- একদা নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু উমামাকে দেখে বলেন- কী হল তোমার আমি তোমাকে নামাজের সময় ব্যতীত অন্য সময়েও মসজিদে (চিন্তিত অবস্থায়) বসে থাকতে দেখি। তিনি অভিযোগ করলেন, আমার চিন্তা-পেরেশানী ও ঋণের বোঝা আমাকে গ্রাস করে রাখে হে আল্লাহর রাসূল! তখন তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে একটি দোয়া বলে দিবো যখন তুমি এটার উপর আমল করবে তখন নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা তোমার পেরেশানি দূর করে দিবেন এবং ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করে দিবেন। তিনি উত্তরে বললেন, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসূল! তখন তিনি শিখিয়ে দিলেন, তুমি সকাল-সন্ধ্যা এই দোয়াটি পড় ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আয়ুজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হুজনি ওয়া আয়ুজুবিকা মিনাল আজযি ওয়াল কাসাল। ওয়া আয়ুজুবিকা মিনাল জুবনি ওয়াল বুখল। ওয়া আয়ুজুবিকা মিন গলাবাতিদ দাই নি ওয়াল কাহরির রিজাল।’
(আবু দাউদ)

শয়তান থেকে রক্ষা পাওয়ার আমল

أَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَاْنِ الرَّجِيْمِ
উচ্চারণ:- আয়ুজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম।
ফায়দা:- হাদীস শরীফে আছে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- যে ব্যক্তি দিনের বেলা দশবার শয়তান থেকে পনাহ চাইবে আল্লাহ তায়ালা তার জন্য একজন ফেরেস্তা নিযুক্ত করে দেন যে তাকে শয়তান থেকে বাঁচাবে।

সাত দোযখ থেকে মুক্তি পাওয়ার আমল

الْلَّهُمَّ اَجِرْنِىْ مِنَ الْنَّاْرِ
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা আজিরনি মিনান নার।
ফায়দা:- ওজর ও মাগরিবের নামাজের পর এই দোয়াটি ৭ বার করে পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা তাকে সাতটি দোজখ থেকে রক্ষা করবেন।

কিয়ামতের দিন হিসাব সহজ হওয়ার আমল

الْلَّهُمَّ حَاْسِبْنِىْ حِسَاْبًا يَسِيْرًا
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্ম হাসিবনি হিসাবাই ইয়াসিরা।
ফায়দা:- এই দোয়াটি সকাল-সন্ধ্যায় ৭বার করে পড়লে আল্লাহ তায়ালা কিয়ামতের দিন হিসাব সহজ করে দিবেন।
(হিসনে হাসিন)

স্বরণশক্তি বৃদ্ধি পাওয়ার আমল

رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِّن لِّسَانِي يَفْقَهُوا قَوْلِي

উচ্চারণ:- রব্বিশ রাহলি সদরি ওয়া ইয়াসসির লি আমরি ওয়াহ লুল ওক দাতাম মিল লিসানি ইয়াফ কাহু কাওলি।
ফায়দা:- এই আয়াতটি আগে পরে ১১ বার দুরুদ শরীফ মাঝখানে ২১বার পড়লে ব্্েরন শক্তি বৃদ্ধি পায়।

জ্বিন-ভূত থেকে বেঁচে থাকার আমল

সকাল সন্ধ্যায় তিন কুল অর্থাৎ সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস তিন বার করে পড়ে সারা শরীরে দম করলে আল্লাহ তায়ালা তাকে জি¦নভুত তথা সর্বপ্রকার অনিষ্ট থেকে তাকে হেফাজত করবেন।

বিছানায় ঘুমানোর আদব ও দোয়া

রাতে শুয়ার পূর্বে আয়াতুল কুরসি পড়বে।

ফায়দা:- হাদীস শরীফে আছে যে ব্যক্তি ঘুমানোর আগে আয়াতুল কুরসি পড়ে আল্লাহ তায়ালা তাকে এবং ঘরের সমস্ত আসবাবকে হেফাজত করবেন এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান তার কাছে আসতে পারবে না।

শোয়ার সময় এই দোয়া পড়বে।
اَلْلَّهُمَّ بِاِسْمِكَ اَمُوْتُ وَاَحْيَى
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমুতু ওয়া আহইয়া।

শোয়ার সময় তিনবার ইস্তেগফার পড়বে

أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِى لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণ:- আসতাগফিরুল্লাহহিল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়া আতুবু ইলাইহি ।
عَنْ جَدِّى أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- يَقُولُ ্র مَنْ قَالَ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِى لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ غُفِرَ لَهُ وَإِنْ كَانَ فَرَّ مِنَ الزَّحْفِ গ্ধ.

ইস্তেগফারের ফজিলত

ফায়দা:- জাদি রা. থেকে বর্ণিত। তিনি নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছেন, যে ব্যক্তি‘আসতাগফি রুল্লাহহিল্লাজি লা ইলাহা ইল্লাহুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়াতুবু ইলাইহি’ পড়বে আল্লাহ তায়ালা তাকে ক্ষমা করে দিবেন যদিও তার গুনাহ সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হোক না কেন।

সুরা বাকারার শেষ তিন আয়াত পড়ে ঘুমাবে


لِّلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ ۗ وَإِن تُبْدُوا مَا فِي أَنفُسِكُمْ أَوْ تُخْفُوهُ يُحَاسِبْكُم بِهِ اللَّهُ ۖ فَيَغْفِرُ لِمَن يَشَاءُ وَيُعَذِّبُ مَن يَشَاءُ ۗ وَاللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنزِلَ إِلَيْهِ مِن رَّبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ ۚ كُلٌّ آمَنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِّن رُّسُلِهِ ۚ وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا ۖ غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُۗلَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا ۚ لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ ۗ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِن قَبْلِنَا ۚ رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ ۖ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا ۚ أَنتَ مَوْلَانَا فَانصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
ফায়দা:- হযরত আলী রা. বলেন, আমার বুঝে আসে না কোন জ্ঞানী বোদ্ধা ব্যক্তি সুরা বাকারার শেষ তিন আয়াত না পড়ে ঘুমায় কিভাবে?
বিছানায় শুয়ে সুরা ফাতেহা ও সুরা ইখলাস পড়বে
ফায়দা:- হাদীস শরীফে এসেছে যখন তোমরা কিছানায় শোবে, সুরা ফাতেহা ও সুরা ইখলাস পড়ে নিবে। তাহলে তোমরা মৃত্যু ব্যতীত সর্বপ্রকার বস্তু থেকে হেফাজত থাকবে।

বিছানায় শুয়ে কুরাআনে কারীমের যেকোন একটি সুরা অবশ্যই পড়ে নিবে

ফায়দা:- হাদীস শরীফে আছে, যে ব্যক্তি বিছানায় শুয়ে কুরআন শরীফের যে কোন একটি সুরা পড়ে নেয় চাই ছোট হোক বা বড় আল্লাহ তায়ালা তার জন্য একজন ফেরেস্তা নিযুক্ত করেছেন সে তার জাগ্রত হওয়ার আগ পর্যন্ত তাকে সর্বপ্রকার কষ্টদায়ক বস্তু থেকে হেফাজত করেন।
(কিতাবুল আদইয়া)

ঘুমানোর পূর্বে আল্লাহর যিকির করে ঘুমাবে

ফায়দা:- হাদীস শরীফে আছে যখন মানুষ ঘুমানোর জন্য বিছানায় যায় তখন তার সাথে সাথে একজন ফেরেস্তা ও এক শয়তান আসে। ফেরেস্তা বলেন হে আদম সন্তান তোমার শেষটা ভালো দ্বারা করো। আর শয়তান তাকে বলে তোমার শেষটা মন্দ দ্বারা করো। এর পর লোকটি যখন যিকির করে ঘুমায় তখন ঐ ফেরেস্ত সারা রাত তাকে হেফাজত করেন। আর যখন যিকির না করে ঘুমায় তখন শয়তান তার ওপর চড়াও হয়।
(কিতাবুল আদইয়া)

ঘুমের মধ্যে ভাল মন্দ স্বপ্ন দেখে জাগ্রত হওয়ার সময়ের আদব ও দোয়া

১) হাদীস শরীফে আছে যদি ঘুমের ভিতর ভাল স্বপ্ন দেখে চোখ খুলে যায় তাহলে আলহামদুলিল্লাহ পড়বে এবং এর বর্ণনা ঐ সকল লোকদেরকে বলবে যারা তাকে বেশি মহাব্বত করে যেন তারা ভাল ব্যাখ্যা দেয়।

২) আর যদি খারাপ স্বপ্ন দেখে তাহলে নিজের বাম পার্শে তিনবার থুথু ফেলবে অথবা তথায় ফু দিবে এবং তিন বার-
اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَاْنِ الْرَّجِيْمِ
(উচ্চারণ:- আয়ুজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতনির রজিম) পড়বে এবং কাউকে এর কথা বলবে না। তাহলে এ স্বপ্ন তার কোন ক্ষতি করবে না। আর যে পার্শ্ব হয়ে ঘুমিয়ে ছিল সে পার্শ্ব পরিবর্তন করে নিবে। অথবা উঠে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়বে।
(কিতাবুল আদইয়া)

ঘুম থেকে জাগ্রত হলে এই দোয়া পড়বে

عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ كَانَ النَّبِىُّ -صلى الله عليه وسلم- إِذَا اسْتَيْقَظَ قَالَ ্র الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِى أَحْيَانَا بَعْدَ مَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ গ্ধ.
উচ্চারণ:- আলহামদু লিল্লাহি আহইয়ানা বায়দামা আমাতানা ওইলাই হিন নুসুর।
(আবু দাউদ)
অর্থ:- হুজাইফা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ঘুম থেকে জাগ্রত হতেন তখন এই দোয়া পড়তেন, ‘আলহামদু লিল্লাহি আহইয়ানা বায়দামা আমাতানা ওইলাই হিন নুসুর’

বাথরুমে প্রবেশ করলে এই দোয়া পড়বে-
اللَّهُمَّ إِنِّى أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ
উচ্চারণ;Ñআল্লাহুম্ম ইন্নি আউজুবিকা মিনাল খুবসি ওয়াল খাবায়িস।
(দাওয়াতুল কুবরা)

বাথরুম থেকে বের হওয়ার সময় এই দোয়া পড়বে-
্র غُفْرَانَكَ اَلْحَمْدُ لِلهِ الَّذِىْ أَذْهَبَ عَنِّ الْأَذَى وَعَافَنِىْ গ্ধ.
উচ্চারণ:- গুফর নাকা। আলহামদু লিল্লাহিললাজি আজহাবা আন্নিল আজা ওয়াফানি।
(কিতাবুল আদইয়া)

ওযু করার সময় ও ওযু থেকে অবসর হওয়ার দোয়াসমূহ

১) ওযু করার জন্য বসার পর এই দোয়া পড়বে।
أَللهُمَّ اِغْفِرْلِىْ ذَنْبِىْ وَوَسِّعْ لِىْ فِىْ دَاْرِىْ وَبَاْرِكْ لِىْ فِىْ رِزْقِىْ
উচ্চারণ:- আল্লাহুমাগ ফিরলি জানবি ওয়াসসিয়লি ফি দারি ও বারিকলি ফি রিজকি।

২) ওযু থেকে অবসর হলে আকাশের দিকে তাকিয়ে এই দোয়াটি তিন বার পড়বে।
أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ
উচ্চারণ:- আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওহদাহু লাশারিকালাহু ও আশহা আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসূলুহ।

৩) এরপর এই দোয়া পড়বে।
أَللَّهُمَّ اِجْعَلْنِىْ مِنَ التَّوَّاْبِيْنَ وَاِجْعَلْنِىْ مِنَ الْمُتَطَهِّرِيْنَ
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মাজআলনি মিনাত তাওয়াবিনা ওয়াজায়ালনি মিনাল মুতাতাহ হিরিন।
(তিরমিজি)

ঘর থেকে বের হওয়ার সময় এই দোয়া পড়বে
اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ خَيْرَ الْمَوْلِجِ وَخَيْرَ الْمَخْرَجِ بِسْمِ اللَّهِ وَلَجْنَا وَبِسْمِ اللَّهِ خَرَجْنَا وَعَلَى اللَّهِ رَبِّنَا تَوَكَّلْنَا

উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা ইন্নি আসয়ালুকা খায়রাল মাওলিজি ও খইরাল মাখরজি। বিসমিল্লাহি ওয়ালাজনা ও বিসমিল্লাহি খরাজনা ওয়ালা রব্বিনা তাওয়াক্কালনা।

মসজিদের আদব ও দোয়াসমূহ

মসজিদে প্রবেশ করার ৫টি সুন্নাত।

১) بسم الله অর্থাৎ “বিসমিল্লাহ” বলে প্রবেশ করা।
২) দুরুদ শরীফ পড়া। এ দুটিকে একসাথে এভাবে পড়া যায়-
بِسْمِ اللهِ وِالصلَاْتُ وَالسَّلَاْمُ عَلَى رسُوْلِ اللهِ
উচ্চারণ:- বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালমু য়ালা রাসূলীল্লাহ।
৩) দোয়া পড়া।
اللَّهُمَّ افْتَحْ لِى أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মাফ তাহলি আবওয়াবা রহমাতিক।
৪) ডান পা দিয়ে প্রবেশ করা।
৫) ইতেকাফের নিয়ত করা।
نَوَيْتُ سُنَّةَ الاِعْتِكَاْفْ
উচ্চারণ:- নাউয়াইতু সুন্নাতাল ইতেকাফ।
(আবু দাউদ)
মসজিদে প্রবেশ করে বসার পূর্বে দুই রাকাত তাহীয়াতুল মসজিদ নামাজ পড়ে নিবে এরপর বসবে।
(হাকেম)
ফায়দা:-
্র مَنْ سَمِعَ رَجُلاً يَنْشُدُ ضَالَّةً فِى الْمَسْجِدِ فَلْيَقُلْ لاَ رَدَّهَا اللَّهُ عَلَيْكَ فَإِنَّ الْمَسَاجِدَ لَمْ تُبْنَ لِهَذَا গ্ধ
১) হাদীস শরীফে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন মসজিদে যদি কাউকে দেখ হারানো জিনিস সম্পর্কে কেউ কাউকে জিজ্ঞাসা করছে কিংবা তালাশ করছে তখন তাকে বলবে আল্লাহ তায়ালা যেন তোমাকে এটা না দেন বা পাইয়ে না দেন, কারণ মসজিদ কারো হারানো জিনিস খোঁজার জন্য বানানো হয় নি।

মসজিদ থেকে বের হওয়ার ৫টি সুন্নাত

১) بسم الله অর্থাৎ “বিসমিল্লাহ” বলে প্রবেশ করা।
২) দুরুদ শরীফ পড়া। এ দুটিকে একসাথে এভাবে পড়া যায়,
بِسْمِ اللهِ وِالصلَاْتُ وَالسَّلَاْمُ عَلَى رسُوْلِ اللهِ
উচ্চারণ:- বিসমিল্লাহি ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু য়ালা রাসূলীল্লাহ।
৩) দোয়া পড়া।
اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্ম ইন্নি আসয়ালুকা মিন ফাদলিক।
(ইবনে মাজা)
৪) বাম পা দিয়ে বের হওয়া।
৫) ডান পায়ের জুতা আগে পরা।

আযান সংক্রান্ত মাসায়েল

যখন মুয়াজ্জিনের আযানের আওয়ায কানে আসবে তখন মুয়াজ্জিন সাহেব যা বলবে শ্রবণকারীও তা বলবে। তবে পার্থক্য হলো এতটুকু যে, মুয়াজ্জিন যখন “হাইয়া য়ালাস সালাহ” এবং “হাইয়া য়ালাল ফালাহ” বলবে তখন শ্রবণকারীরা বলবে “লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ” আর ফজরের আজানে যখন মুয়াজ্জিন বলবে “আস সালাতু খাইরুম মিনান নাওম” তখন শ্রবণকারী বলবে “সাদাকতা ওয়া বারারতা”
(দাওয়াতুল কুবরা)
ফায়দা:- হাদীস শরীফে আছে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি অন্তর থেকে আযানের উত্তর দিবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

আযানের পর এই দোয়া পড়া

اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِى وَعَدْتَهُ اِنَّكَ لَاْ تُخْلِفُ الَمِيْعَاْدَ
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা রব্বা হাজিহিদ দায়ওয়াতিত তাম্মাহ। ওয়াস সালাতিল কাইমাহ। আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাজিলাহ। ওবায়াসহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়াত্তাহ। ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিয়াদ।
্র مَنْ قَالَ حِينَ يَسْمَعُ النِّدَاءَ اللَّهُمَّ رَبَّ هَذِهِ الدَّعْوَةِ التَّامَّةِ وَالصَّلاَةِ الْقَائِمَةِ آتِ مُحَمَّدًا الْوَسِيلَةَ وَالْفَضِيلَةَ وَابْعَثْهُ مَقَامًا مَحْمُودًا الَّذِى وَعَدْتَهُ إِلاَّ حَلَّتْ لَهُ الشَّفَاعَةُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ গ্ধ.
ফায়দা:- হাদীস শরীফে আছে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে ব্যক্তি মুয়াজ্জিনের সাথে সাথে আযানের উত্তর দেওয়ার পর এই দোয়া পড়বে:- আল্লাহুম্মা রব্বা হাজিহিদ দায়ওয়াতিত তাম্মাহ। ওয়াস সালাতিল কাইমাহ। আতি মুহাম্মাদানিল ওয়াসিলাতা ওয়াল ফাজিলাহ। ওবায়াসহু মাকামাম মাহমুদানিল্লাজি ওয়াত্তাহ। ইন্নাকা লা তুখলিফুল মিয়াদ।’ তার জন্য সুপারিশ করা আমার উপর ওয়াজিব হয়ে যায়।
(কিতাবুল আদইয়া)

নামাজের দোয়াসমূহ

১) ফরজ নামাজের জন্য যখন দাঁড়াবে তখন এই দোয়া পড়বে।
إِنِّى وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذِى فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ عَلَى مِلَّةِ إِبْرَاهِيمَ حَنِيفًا وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلاَتِى وَنُسُكِى وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِى لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا مِنَ الْمُسْلِمِينَ.
উচ্চারণ:- ইন্নি ওয়াজ জাহতু ওজহিয়া লিল্লাজি ফাতারস সামাওয়াতি ওয়াল আরদা হানিফাও অমা আনা মিনাল মুশরিকীন। ইন্না সলাতি ওয়া নুসুকি ওয়া মাহইয়ায়া ওয়া মামাতি লিল্লাহি রব্বিল য়ালামিন। লা শারিকালাহু ওয়াবি জালিকা ওমিরতু ওয়ানা আওয়ালুল মুসলিমীন।’ (দায়ওয়াতুল কুবরা)

তবে এটাকে জরুরি মনে না করা।

২) তাকবির বলার পর এই দোয় পড়বে।
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ وَتَبَارَكَ اسْمُكَ وَتَعَالَى جَدُّكَ وَلاَ إِلَهَ غَيْرُكَ
উচ্চারণ:- সুবহা নাকাল্লাহুম্মা ওয়াবিহামদিকা ওতাবারা কাসমুকা ওয়া তায়ালা জাদদুকা ওয়ালা ইলাহা গাইরুক।

৩) ইমাম সাহেব যখন عير المغضوب عليهم ولاالضالين বলবেন তখন মুকতাদিগন আমীন বলবে।
(নাসায়ী শরীফ)
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ : إِذَا أَمَّنَ الإِمَامُ فَأَمِّنُوا فَإِنَّهُ مَنْ وَافَقَ تَأْمِينُهُ تَأْمِينَ الْمَلاَئِكَةِ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
ফায়দা:- হাদীস শরীফে আছে আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যখন ইমাম সাহেব আমীন বলে তখন তোমরা আমীন বলো। কারণ, তখন ফেরেস্তাগণও আমীন বলে। আর যার আমীন ফেরেস্তাদের আমীনের সাথে মিলে যায় আল্লাহ তায়ালা তার পূর্বের গুনাহ সমুহ মাফ করে দেন।

৪) যখন রুকুতে যাবে তখন কমপক্ষে তিনবার এই দোয়া পড়বে سُبْحَاْنَ رَبِّىَ الْعَظِيْمُ (উচ্চারণ:- সুবহানা রব্বিয়াল য়াজিম)

৫) রুকু থেকে উঠার সময় سَمِعَ اللهُ لِمَنْ حَمِدَ (উচ্চারণ:- সামিয়াল্লাহু লিমান হামিদা) পড়বে। এরপর رَبَّنَاْ لَكَ الْحَمْدُ (উচ্চারণ:- রব্বানা লাকাল হামদ) পড়বে।

৬) সেজদায় গিয়ে কমপক্ষে তিন বার এই দোয়া পড়বে।سُبْحَاْنَ رَبِّىَ الَعَظِيْمُ (উচ্চারণ:- সুবহানা রব্বিয়াল য়াজিম)
বৈঠকের দোয়াসমূহ
প্রথম বৈঠকে “আত্তাহিয়্যাতু” পড়বে এবং শেষ বৈঠকে প্রথমে আত্তাহিয়্যাতু পড়বে অত:পর দুরুদ শরীফ পড়বে অত:পর দোয়ায়ে মাসুরা পড়বে।

সালাম ফিরানোর পরের দোয়াসমূহ

১) যখন সালাম ফিরাবে তখন তিন (৩) বার استغر الله (উচ্চারণ:- আসতাগফিরুল্লাহ) পড়বে।

২) এরপর এই দোয়া পড়বে
اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস্ সালাম তাবারকতা ইয়া জালজালালী ওয়াল ইকরাম।

৩) এরপর ৩৩ বার سبحان الله (উচ্চারণ:- সুবানাল্লা) পড়বে। ৩৩ বার الحمد الله (উচ্চারণ:- আলহামদুলিল্লাহ) পড়বে। ৩৪ বার الله اكبر (উচ্চারণ:- আল্লাহু আকবার) পড়বে। এবং একবার لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ পড়বে।
উচ্চারণ:- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওহুয়া য়ালা কুল্লি শাইয়িন কাদির।

قَالَ ্র مَنْ تُكَبِّرُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ دُبُرَ كُلِّ صَلاَةٍ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَتَحْمَدُهُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَتُسَبِّحُهُ ثَلاَثًا وَثَلاَثِينَ وَتَخْتِمُهَا بِلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ غُفِرَتْ لَهُ ذُنُوبُهُ وَلَوْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ গ্ধ.
ফায়দা:- হাদীস শরীফে আছে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয নামাজের পর ৩৩ বার سبحان الله (উচ্চারণ:- সুবহানাল্লাহ) পড়বে। ৩৩ বার الحمد الله (উচ্চারণ:- আলহামদু লিল্লাহ) পড়বে। ৩৪ বার الله اكبر (উচ্চারণ:- আল্লাহু আকবার) পড়বে এবং একবার لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
উচ্চারণ:- ‘ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওহুয়া য়ালা কুল্লি শাইয়িন কাদির।’ পড়বে আল্লাহ তায়ালা তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিবেন। যদিও তা সমুদ্্েরর ফেনা পরিমাণ হয়।

ইফতারের সময় দোয়া

১) اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়ালা রিজকিকা আফতারতু

রোজার নিয়ত
نَوَيْتُ اَنْ اَصُوْمَ غَدًا مِنْ شَهْرِ رَمَضَاْنَ فَرْضًا لَكَ فَتَقَبَّلْ مِنِّىْ يَاْ اَرْحَمَ الرَّاْحِمِيْنَ
উচ্চারণ:- নাওয়াইতু য়ান আসুমা গদান মিন সাহরি রমাদানা ফারদান লাকা ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইয়া আরহামার রাহিমিন।

খাওয়ার দোয়াসমূহ

১) খানা সামনে আসলে এই দোয়া পড়বে بِسْمِ اللهِ উচ্চারণ:- বিসমিল্লাহ।
২) খানা খাওয়া শুরু করলে এই দোয়া পড়বে।
بِسْمِ اللهِ وَ عَلَى بَرَكَةِ اللهِ
উচ্চারণ:- বিসমিল্লাহি ওয়ালা বারাকা তিল্লাহ।

ফায়দা:- হাদীস শরীফে আছে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন যে খাবারের শুরুতে بسم اللهপড়া হয় না ঐ খানা শয়তানের অধীনে চলে যায়।
(আবু দাউদ)

৩) খাবারের শুরুতে দোয়া পড়তে ভুলে গেলে মাঝখানে এই দোয়া পড়ে নিবে। بسم الله اوله وا خره উচ্চারণ:- বিসমিল্লাহি আওয়ালুহু ওয়া আখিরুহু।
(আবু দাউদ)

৪) খানার শেষে এই দোয়া পড়বে।
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِى أَطْعَمَنَا وَسَقَانَا وَجَعَلَنَامن المُسْلِمِينَ
উচ্চারণ:- আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি আতয়ামানা ওয়াসা কানা ওজায়ালানা মিনাল মুসলিমিন।

৫) দাওয়াত বা অন্যের ঘরে খাবার খেলে এই দোয়া পড়বে।
اللَّهُمَّ أَطْعِمْ مَنْ أَطْعَمَنِى وَأَسْقِ مَنْ سْقَانِى
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা আতয়িম মান আতায়ামানি ওস্কি মান সাকানি।

নতুন কাপড় পরিধান করলে এই দোয়া পড়বে

الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِى كَسَانِى هَذَا الثَّوْبَ وَرَزَقَنِيهِ مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّى وَلاَ قُوَّةٍ
উচ্চারণ:- আলহামদু লিল্লাহিল্লাজি কাসানি হাজাস সাওবা অরজাকনিহি মিন গইরি হাওলিম মিননি ওলা কুওআহ।
ফায়দা:- হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি খাবারের পর এই দোয়া পড়বে এবং নতুন কাপড় পরিধান করার পর এই দোয়া পড়বে আল্লাহ তায়ালা তার জীবনের পূর্বাপর সকল গুনাহ মাফ করে দিবেন।

তাহিয়্যাতুল ওযুর নামাজ

ওযু করার পর অঙ্গ শুকানোর আগে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়া উত্তম। এই নামাজের নিয়ত এভাবে করা যায়।
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لَلهِ تَعَاْلَى رَكْعَتَىَ تَحِيَّةِ الْوَضُوْءِ نَفْلِ الله تَعَاْلَى مُتَوَجِّهًا إِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الْشَّرِيْفَةِ اللهُ أَكْبَرْ
আরবি উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকআতাই সালাতিত তাহিয়াতিল ওযু নফলিল্লাহি তায়ালা মুতাওজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা‘বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলায় বললে: আমি আল্লাহ তায়ালার জন্য তাহিয়াতুল ওযুর দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ছি, আল্লাহু আকবার।

قَالَ ্র مَنْ تَوَضَّأَ مِثْلَ وُضُوئِى هَذَا ثُمَّ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ لاَ يُحَدِّثُ فِيهِمَا نَفْسَهُ غَفَرَ اللَّهُ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ গ্ধ.
ফায়দা:- এই নামাজের অনেক ফজিলত, এমন কি এই নামাজ আদায় কারীর ব্যাপারে পূর্বের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যাওয়ার কথা হাদিসে এসেছে। এমনকি এক রেওয়াতে জান্নাত ওয়াজির হয়ে যাওয়ার কথাও সহীহ হাদীসে বর্ণিত হয়েছে।
ফজরের নামাজের ওয়াক্তে বা কোনো মাকরুহ কিংবা হারাম ওয়াক্তে এই নামাজ পড়বে না।
(ফতোয়ায়ে শামী)

ইশরাকের নামাজ

সূর্য উদয়ের পর যে দুই বা চার রাকাত নামাজ পড়া হয় তাকে এশরাকের নামাজ বলে।
ফজরের নামাজ আদায় করে সেস্থানেই বসে থাকবে। দোয়া-দুরুদ, যিকির-আজকার, তাসবিহ-তাহলিল, তেলাওয়াতে লিপ্ত থাকবে। দুনিয়াবি কোন কথা বা কাজে লিপ্ত হবে না। বরং সময় হয়ে গেলে ইশরাকের নামাজ আদায় করবে।

দুই রাকাত ইশরাক নামাজের নিয়ত এভাবে করা যায়-
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لَلهِ تَعَاْلَى رَكْعَتَىَ الاِشْرَاْقِ نَفْلِ اللهِ تَعَاْلَى مُتَوَجِّهًا إِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الْشَّرِيْفَةِ اللهُ أَكْبَرْ
আরবি উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকআতাই সালাতিল এশরাকি নফলিল্লাহি তায়ালা মুতাওজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা‘বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলায় বললে: আমি আল্লাহ তায়ালার জন্য এশরাকের দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ছি, আল্লাহু আকবার।
عن رسول الله صلى الله عليه و سلم عن الله عز و جل أنه قال ابن آدم اركع لي من أول النهار أربع ركعات أكفك آخره
ফায়দা:- হাদীস শরীফে আছে, যে ব্যক্তি দুই রাকাত ইসরাক নামাজ আদায় করবে সে একটি হজ¦ ও একটি ওমরার সাওয়াব পাবে। আর যে চার রাকাত ইসরাকের নামাজ আদায় করবে সারাদিন আল্লাহ তায়ালা তার ঐ দিনের জিম্মদারী নিয়ে নিবেন।

চাশতের নামাজ

আনুমানিক সকাল নয়টা বা দশটার দিকে যে নামাজ পড়া হয় তাকে চাশতের নামাজ বলে।
দুই রাকাত চাশতের নিয়ত এভাবে করা যায়-
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لَلهِ تَعَاْلَى رَكْعَتَىَ الضُّحَى ىنَفْلِ الله تَعَاْلَى مُتَوَجِّهًا إِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الْشَّرِيْفَةِ اللهُ أَكْبَرْ
আরবি উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকআতাই সালাতিদ দুহা নফলিল্লাহি তায়ালা মুতাওজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা‘বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলায় বললে: আমি আল্লাহ তায়ালার জন্য চাশতের দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ছি, আল্লাহু আকবার।
عن رسول الله صلى الله عليه و سلم عن الله عز و جل أنه قال ابن آدم اركع لي من أول النهار أربع ركعات أكفك آخره
ফায়দা:- যে ব্যক্তি চাশতের নামাজ পড়বে আল্লাহ তায়ালা তার সারা দিনের জন্য যথেষ্ট হয়ে যাবেন।

আওয়াবিন নামাজ

মাগরিবের ফরজ এবং সুন্নাতের পর কমপক্ষে ছয় রাকাত নফল নামাজকে আওয়াবিন বলা হয়।
দুই রাকাত আওয়াবিনের নামাজের নিয়ত এভাবে করা যায়।
نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّى لَلهِ تَعَاْلَى رَكْعَتَىَ الاَوَّاْبِيْن نَفْلِ اللهِ تَعَاْلَى مُتَوَجِّهًا إِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الْشَّرِيْفَةِ اللهُ أَكْبَرْ
আরবি উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা রাকআতাই সালাতিল আওয়াবিন নফলিল্লাহি তায়ালা মুতাওজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা‘বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলায় বললে: আমি আল্লাহ তায়ালার জন্য আওয়াবিনের দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ছি, আল্লাহু আকবার।

ফায়দা:-

১) হাদীস শরীফে এই ছয় রাকাত আওয়াবিনের ফজিলত হিসেবে বার বছর ইবাদত করার সওয়াব অর্জিত হওয়ার কথা বর্ণিত আছে।
২) অপর এক হাদীসে আছে যে ব্যক্তি আওয়াবিন নামাজ পড়বে আল্লাহ তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিবেন যদিও তা সমুদ্রের ফেনা পরিমাণ হয়।
সালাতুত তাসবিহ
চার রাকাত নফল নামাজ যার প্রতি রাকাতে سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ ৭৫ বার এবং চার রাকাতে সর্বমোট ৩০০ বার তাসবিহটি পাঠ করা হয়। এই নামাজকে সলাতুত তাসবিহ বলে।
চার রাকাত সালাতুত তাসবিহ নামাজের নিয়ত এভাবে করা যেতে পারে – نَوَيْتُ اَنْ اُصَلِّىَ لَلهِ تَعَاْلَى اَرْبَعَ رَكَعَاْتِ صَلَاْةَ التَّسْبِيْح نَفْلِ اللهِ تَعَاْلَى مُتَوَجِّهًا إِلَى جِهَةِ الْكَعْبَةِ الْشَّرِيْفَةِ اللهُ أَكْبَرْ
আরবি উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন উসাল্লিয়া লিল্লাহি তায়ালা আরবাআ রাকাআতি সালাতিত তাসাবিহি নাফলিল্লাহি তায়ালা মুতাওজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা‘বাতিশ শারিফাতি আল্লাহু আকবার।
বাংলায় বললে: আমি আল্লাহ তায়ালার জন্য সালাতুত তাসবিহের চার রাকাত নফল নামাজ পড়ছি, আল্লাহু আকবার।

সালাতুত তাসবীহ পড়ার নিয়ম

চার রাকাত সালাতুত তাসবীহ নফল নামাজের নিয়ত করে যথারীতি সুরা ফাতেহা ও অন্য সুরা কেরাত পাঠ করার পর দাঁড়ানো অবস্থাতেই উক্ত তাসবীহ ১৫ বার পড়বে। অত:পর রুকুতে গিয়ে রুকুর তাসবীহ পড়ার পর উক্ত তাসবীহ ১০ বার পড়বে। অত:পর সেজদায় গিয়ে সেজদার তাসবীহ পড়ার পর ১০ বার পড়বে। সেজদা থেকে উঠে দুই সেজদার মাঝে ১০ বার পড়বে। অত:পর দ্বিতীয় সেজদায় গিয়ে তাসবীহ পড়ার পর ১০ বার পড়বে। অত:পর দ্বিতীয় সেজদা থেকে উঠে বসে আবার ১০ বার পড়বে। এই হলো এক রাকাতে ৭৫ বার। এর পর (আল্লাহু আকবার বলা ব্যতীত) দ্বিতীয় রাকাতের জন্য দাঁড়াবে এবং এই রুপে দ্বিতীয় রাকাত পড়বে। দ্বিতীয় রাকাতে আত্তাহিয়্যাতুর জন্য বসবে তখন উক্ত তাসবীহ ১০ বার প্রথমে পড়বে তার পর আত্তাহিয়্যাতু পড়বে। অত:পর তৃতীয় রকাতের জন্য উঠবে। আর তৃতীয় ও চতুর্থ রাকাতে উক্ত নিয়মে তাসবীহ পাঠ করবে। তৃতীয় রাকাতের দ্বিতীয় সেজদা থেকে উঠে তাসবীহ পড়ে দাঁড়ানোর সময় আল্লাহু আকবার তাকবির বলবে না। কোন এক স্থানে উক্ত তাসবীহ সম্পূর্ণ ভুলে গেলে বা ভুলে নির্দিষ্ট সংখ্যার চেয়ে কম পড়লে পরবর্তী যে রুকনেই স্বরণ আসুক আদায় করে নিবে। আর এই নামাজে কোন কারণে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হলে সেই সেজদায় এবং তার পরের বৈঠকে তাসবীহ পাঠ করতে হবে না। তাসবীহের সংখ্যা স্বরণ রাখার জন্য আঙ্গুলে গণনা করা যাবে না। তবে আঙ্গুল চেপে স্বরণ রাখা যেতে পারে।
(আহসানুল ফাতাওয়া)

উল্লেখ্য: এই নামাজ একাকী পড়তে হয়।

عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ لِلْعَبَّاسِ بْنِ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ ্র يَا عَبَّاسُ يَا عَمَّاهُ أَلاَ أُعْطِيكَ أَلاَ أَمْنَحُكَ أَلاَ أَحْبُوكَ أَلاَ أَفْعَلُ بِكَ عَشْرَ خِصَالٍ إِذَا أَنْتَ فَعَلْتَ ذَلِكَ غَفَرَ اللَّهُ لَكَ ذَنْبَكَ أَوَّلَهُ وَآخِرَهُ قَدِيمَهُ وَحَدِيثَهُ خَطَأَهُ وَعَمْدَهُ صَغِيرَهُ وَكَبِيرَهُ سِرَّهُ وَعَلاَنِيَتَهُ عَشْرَ خِصَالٍ أَنْ تُصَلِّىَ أَرْبَعَ رَكَعَاتٍ تَقْرَأُ فِى كُلِّ رَكْعَةٍ فَاتِحَةَ الْكِتَابِ وَسُورَةً فَإِذَا فَرَغْتَ مِنَ الْقِرَاءَةِ فِى أَوَّلِ رَكْعَةٍ وَأَنْتَ قَائِمٌ قُلْتَ سُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ وَلاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَاللَّهُ أَكْبَرُ خَمْسَ عَشْرَةَ مَرَّةً ثُمَّ تَرْكَعُ فَتَقُولُهَا وَأَنْتَ رَاكِعٌ عَشْرًا ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ الرُّكُوعِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا ثُمَّ تَهْوِى سَاجِدًا فَتَقُولُهَا وَأَنْتَ سَاجِدٌ عَشْرًا ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ مِنَ السُّجُودِ فَتَقُولُهَا عَشْرًا ثُمَّ تَسْجُدُ فَتَقُولُهَا عَشْرًا ثُمَّ تَرْفَعُ رَأْسَكَ فَتَقُولُهَا عَشْرًا فَذَلِكَ خَمْسٌ وَسَبْعُونَ فِى كُلِّ رَكْعَةٍ تَفْعَلُ ذَلِكَ فِى أَرْبَعِ رَكَعَاتٍ إِنِ اسْتَطَعْتَ أَنْ تُصَلِّيَهَا فِى كُلِّ يَوْمٍ مَرَّةً فَافْعَلْ فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِى كُلِّ جُمُعَةٍ مَرَّةً فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِى كُلِّ شَهْرٍ مَرَّةً فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِى كُلِّ سَنَةٍ مَرَّةً فَإِنْ لَمْ تَفْعَلْ فَفِى عُمُرِكَ مَرَّةً গ্ধ.

অর্থ:- হাদীস শরীফে আছে যে ব্যক্তি এই নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তায়ালা তার জীবনের ছোট বড় ইচ্ছাকৃত-অনিচ্ছাকৃত প্রকাশ্য গোপনে সবরকমের পাপ মাফ করে দিবেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চাচা হযরত আব্বাস রা. কে বলেছিলেন, চাচা পারলে প্রতিদিন এই নামাজ পড়ুন। তা না হলে প্রতি সপ্তাহে একবার পড়ুন। তা না হলে প্রতি বছর একবার পড়–ন। তা না হলে কমপক্ষে জীবনে একবার হলেও এই নামাজ পড়ুন।

এস্তেখারার নামাজ

যখন কোন দুটি মুবাহ বা জায়েয কাজের মধ্যে কোনটি করবো সন্দেহ বা দ্বিধা দেখা দেয় (ফরয, ওয়াজিব বা নাজায়েয কাজের জন্য ইস্তেখারা নেই) যেমন: কোথায় বিবাহ শাদী করবো। বিদেশ যাত্রা করবো কি না বা হজে¦ কোন তারিখে যাব (হজ¦ ফরয কি না এরুপ ইস্তেখারা হয় না) ইত্যাদি বিষয়ে মন স্থির করতে না পারলে বিশেষ এক পদ্ধতিতে আল্লাহর নিকট মঙ্গল প্রার্থনা করাকে ইস্তেখারা বলে।

ইস্তেখারার তরীকা: দুই রাকাত নফল নামাজ পড়ে মনোযোগের সাথে নি¤েœাক্ত দোয় পড়া। তারপর মনের মাঝে যেদিকে ঝোক সৃষ্টি হয় কিংবা যে বিষয়টা অধিক কল্যাণজনক মনে হয় তাকে কল্যাণকর মনে করে সেটা করা। একদিনে মনের অবস্থা এরুপ না হলে লাগাতার সাত দিন করা। তার পরেও যদি মন কোন দিকে না ঝোকে ভাল মন্দ বিবেচনা পূর্বক কাজ করে ফেললে ইস্তেখারার বরকতে এবং আল্লাহ তায়ালার রহমতে মঙ্গল হবে।
বিঃ দ্রঃ ইস্তেখারার রাতের বেলায় করা এবং ইস্তেখারার পর শয়ন করা এবং স্বপ্নের মাধ্যমেই ইস্তেখারার ফলাফল জানা এরুপ জরুরি নয়। ইস্তেখারা যে কোনো সময় করা যায়। ইস্তেখারার পর শয়ন করাও জরুরি নয়। জাগ্রত অবস্থাতেও তার মন যে কোন একদিকে ঝুকে যেতে পারে। আবার স্বপ্নের মাধ্যমে কিছু জানতে পারে।

ইস্তেখারার দোয়া

اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْتَخِيرُكَ بِعِلْمِكَ وَأَسْتَعِينُكَ بِقُدْرَتِكَ وَأَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ الْعَظِيمِ فَإِنَّكَ تَقْدِرُ وَلاَ أَقْدِرُ وَتَعْلَمُ وَلاَ أَعْلَمُ وَأَنْتَ عَلاَّمُ الْغُيُوبِ اللَّهُمَّ إِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ خَيْرٌلِى فِى دِينِى وَمَعَاشِى وَعَاقِبَةِ أَمْرِى فَاقْدُرْهُ لِى وَيَسِّرْهُ لِى ثُمَّ بَارِكْ لِى فِيهِ وَإِنْ كُنْتَ تَعْلَمُ أَنَّ هَذَا الأَمْرَ شَرٌّ لِى فِى دِينِى وَمَعَاشِى وَعَاقِبَةِأَمْرِى – فَاصْرِفْهُ عَنِّى وَاصْرِفْنِى عَنْهُ وَاقْدُرْ لِى الْخَيْرَحَيْثُ كَانَ ثُمَّ أَرْضِنِى بِهِ

উচ্চরণ:- আল্লাহুম্মা ইন্নি আসতাখিরুকা বিইলমিকা ওয়া আসতাকদিরুকা বিকুদরতিকা ওয়া আসয়ালুকা মিন ফজলিকাল য়াজিম ফাইন্নাকা তাকদিরু অলা আকদিরু ওয়া তায়লামু অলা আয়লামু ওয়া আনতা য়াল্লামুল গুয়ুব। আল্লাহুম্মা ইন কুনতা তায়লামু আন্না হাজাল আমরা খাইরুনলি ফি দ্বীনি ওয়া মায়াশি ওয়াকিবাতু আমরি ফাকদিরহু লি ওয়া ইয়াসসিরহু লি সুম্মা বারিকলি ফিহি ওয়া ইনকুনতা তায়লামু আন্না হাজাল আমরা শাররুন লি ফি দ্বীনি ওয়া মায়াশি ওয়া য়াকিবাতু আমরি ফাসরিফহু য়ান্নি ওয়াসরিফনি য়ানহু ওয়াকদিরলিয়াল খাইরা হাইসু কানা সুম্মা আরজিনি বিহি।

ইস্তেখারার এই দোয়া মুখস্থ না থাকলে সংক্ষিপ্ত এই দোয়াটি পড়ে নিবে
اللَّهُمَّ خَيِّرْ لِىْ وَاِخْتَرْ لِىْ উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা খাইয়ারলি ওয়া ইয়াখতারলি।
(আগলাতুল আওয়াম)

বাসর রাতের সুন্নাত

১) যখন কোন ব্যক্তি প্রথম বার স্ত্রীর কাছে যাবে তখন স্ত্রীর কপালের চুলের উপর হাত রেখে এই দোয় পড়বে
اللهم ! إنى أسألك من خيرها وخير ما جبلت عليه . وأعوذ بك من شرهاوشر ما جبلت عليه
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা মিন খইরিহা অষাইরিমা জাবালতা য়ালাইহি ওয়া আয়ুজুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররিমা জাবাল তা য়ালাইহি।
(আবু দাউদ শরীফ)

২) যখন স্বামী-স্ত্রী মিলনের ইচ্ছা করবে তখন এই দুয়া পড়বে
بِسْمِ اللَّهِ اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ وَجَنِّبِ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا
উচ্চারণ:- বিসমিল্লাহি আল্লাহুম্মা জান্নিব্নাশ শাইতানা অয়াজান্নিবিশ শাইতনা মা রজাকতানা। (আবু দাউদ শরীফ)

৩) বীর্য বের হওয়ার সময় এই দোয়া পড়তে হয়।
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা লা তাজয়াল লিশশাইতানা ফিমা রজাকতানী নাসিবান।
(ইবনে আবি শাইবা)

বিশেষ তিনটি সুন্নাত

১) বেশি বেশি সালাম দেওয়া এবং আগে সালাম দেওয়া।

২) প্রত্যেক ভালো কাজ ডান দিক থেকে শুরু করা এবং প্রত্যেক ভাল জায়গায় ডান দিককে প্রাধান্য দেওয়া। যেমন:- মসজিদে প্রবেশ করলে ডান পা আগে দিবে এবং কাপড় পরিধান করলে ডান হাত বা ডান পা আগে ঢুকাবে ইত্যাদি।
প্রত্যেক তুলনামূলক নি¤œ মানের কাজ বাম দিক থেকে শুরু করবে এবং নি¤œমানের জায়গায় বাম দিককে আগে বাড়ানো। যেমন:- পোষাক খোলার সময় বাম হাত াব া পা আগে খোলা। মসজিদ থেকে বের হওয়ার সময় এবং বাথরুমে প্রবেশ করার সময় বাম পা আগে রাখা।

৩) বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করা। উত্তম হলো, উপরে উাার সময় “ধাল্লাহু আকবার” নিচে নামার সময় “সুবহানাল্লাহ” এবং সমতল ভূমিতে চলার সময় “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” কিংবা যেকোন যিকিরে মাশগুল থাকা।
স্থলযানে আরোহনের দোয়া
উচ্চারণ:- সুবহানাল্লাজি সাখখারালানা হাজা ওয়ামা কুন্না লাহু মুকরিনিন। ওয়া ইন্না ইলা রব্বিনা লামুন কলিবুন।

নৌযানে আরোহন করার দোয়া

بِسْمِ اللَّهِ مَجْرَاهَا وَمُرْسَاهَا إِنَّ رَبِّي لَغَفُورٌ رَّحِيمٌ
উচ্চারণ:- বিসমিল্লাহি মাজরেহা ওয়া মুরসাহা ইন্না রব্বি
লাগাফুরুর রহিম।

হজের সফরের দোয়াসমূহ

১) যখন ইহরাম বাধবে তখন এই দোয়া পড়বে।
لَبَّيْكَ اللَّهُمَّ لَبَّيْكَ لَبَّيْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ لَبَّيْكَ إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لاَ شَرِيكَ لَكَ
উচ্চারণ:- লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক। ইন্নাল হামদা ওয়ান নিয়মাতা লাকা অলমুলকা লা লাশারিকা লাক। (নাসায়ী শরীফ)

২) তাওয়াফ করা অবস্থায় দোয়া। বাইতুল্লাহ যিয়ারত করা অবস্থায় যখনই হাজরে আসওয়াদের কাছে পৌঁছবে তখনই এই তাকবির বলবে, الله اكبر .(উচ্চারণ:- আল্লাহু আকবার)। (বুখারী শরীফ)

৩) তাওয়াফের পর এই দোয়া পড়বে-
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
উচ্চারণ:- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ দাহু লাশারিকালাহু লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু অহুয়া য়ালা কুল্লিশাইয়িন ক্বাদির।
وَإِذْ جَعَلْنَا الْبَيْتَ مَثَابَةً لِّلنَّاسِ وَأَمْنًا وَاتَّخِذُوا مِن مَّقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى وَعَهِدْنَا إِلَىٰ إِبْرَاهِيمَ وَإِسْمَاعِيلَ أَن طَهِّرَا بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْعَاكِفِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ

৪) মাকামে ইব্রাহিমের সামনে এই আয়াত পড়বে,
উচ্চারণ:- ওয়াত্তাখিজু মিন মাকামি ইব্রাহিমা মুসল্লা।

৫) সাফা মারওয়ার স্থানে পৌঁছলে এই দোয়া পড়বে,
إِنَّا الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِن شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِ أَن يَطَّوَّفَ بِهِمَا وَمَن تَطَوَّعَ خَيْرًا فَإِنَّ اللَّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ
৬) আরাফার দিন বেশি বেশি এই দোয়া করবে,
لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
উচ্চারণ:- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহদাহু লাশারিকালাহু লাহুলমুলকু অলাহুল হামদু অহুয়া য়ালা কুল্লিশাইয়িন কদির।
ফায়দা:- হাদীস শরীফে আছে আমি এবং আমার পূর্বেকার নবীগণ যে দোয়াটা আরাফার দিন সবচেয়ে বেশি পড়তাম তা হলো এই দোয়া।
(মুসান্নেফে ইবনে আবি শাইবা)

৬) মিনায় যখন কুরবানী করবে তখন এই দোয়া করবে,
بِسْمِ اللهِ وَاللهُ أكْبَرُ اللَّهُمَّ تَقَبَّلْ مِنِّىْ وَمِنْ أُمَّتِ مُحَمَّدٍ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمْ إِنِّى وَجَّهْتُ وَجْهِىَ لِلَّذِى فَطَرَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ حَنِيفاً وَمَا أَنَا مِنَ الْمُشْرِكِينَ إِنَّ صَلاَتِى وَنُسُكِى وَمَحْيَاىَ وَمَمَاتِى لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ لاَ شَرِيكَ لَهُ وَبِذَلِكَ أُمِرْتُ وَأَنَا أَوَّلُ الْمُسْلِمِينَ اللَّهُمَّ مِنْكَ وَلَكَ بِسْمِ اللهِ وَاللهُ أكْبَرُ
৭) যখন জমজমের পানি পান করবে তখন এই দোয়া পড়বে, اللَّهُم إِنِّىْ أَسْأَلُكَ عِلْمًا نَاْفِعًا وَرِزْقًا وَاْسِعًا وَشِفَاْءً مِنْ كُلِّ دَاْء
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা ইন্নি আসয়ালুকা ইলমান নাফিয়া। অরিযকান অসিয়াহ। অশিফায়ান মিনকুল্লি দা’।
(মুসতাদরাকে হাকেম)

৮) বিপদ ও পেরেশানির সময় এই দোয়া পড়বে,
لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
উচ্চারত:- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু য়াজিমুল হালিম। লা ইলাহা ইল্লøøাহু রাব্বিল য়ারশির য়াযিম। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বিস সামাওয়াতু ওয়াল আরদ। অরব্বিল য়ারশিল কারিম।
عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَدْعُو عِنْدَ الْكَرْبِ يَقُولُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ
ফায়দা:- হাদিস শরীফে আছে ইবনে আব্বাস রা. থেকে নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পেরেশানির সময় এই দোয়া পড়তেন ‘ লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু রাব্বিস সামাওয়াতু ওয়াল আরদ। অরব্বিল য়ারশিল কারিম’।
(বুখারী)

৯) অথবা বেশি বেশি এই দোয়া পড়বে,
حَسْبُنَاْ اللهُ وَ نِعْمَ الْوَكَيْلِ
১০) (উচ্চারণ:- হাসবুনাল্লাহি অনিয়মাল অকিল)
১১) কোন ব্যাক্ত কোন গোত্রকে ভয় পেলে এই দোয়া পড়বে,
اللَّهُمَّ اِكْفِنَاْهُمْ بِمَاْ شِئْتَ
(উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মাক ফিনাহু বিমা শিয়তা) অথবা
اللَّهُمَّ اِنَّاْ نَجْعَلُكَ فِىْ نُحُوْرِهِمْ وَنَعُوْذُبِكَ مِنْ شُرُوْرِهِمْ
(উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা ইন্না নায’য়ালুকা ফি নুহুরিহিম অ নায়ু জুবিকা মিন শুরুরিরিহিম)

বৃষ্টির সময় এই দোয়া পড়বে-
اللَّهُمَّ صَيِّبًا نَاْفِعًا
(উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা সইয়িবান নাফেয়া)

যখন মোরোগের আওয়ায শুনবে তখন এই দোয়া পরবে-
اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ مِنْ فَضْلِكَ

গাধা কিংবা কুকুরের আওয়াজ শুনলে এই দোয়া পড়বে-
اعَوَّذٌ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَاْنِ الرَّجِيْمِ
উচ্চারণ:- য়ায়ুজুবিল্লাহ হিমিনশসাইতনির রাজিম।

যখন সবে কদর নছিব হবে তখন এই দোয়া পড়বে।
اللهم انَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّىْ
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা ইন্নাকা য়াফুওয়ুন তুহিব্বুল য়াফওয়া ফায়ফু য়ান্নি।
অর্থ:- হে আল্লাহ নিশ্চয়ই তুমি ক্ষমাশীল ক্ষমা করাকে তুমি পছন্দ করো। সুতরাং আমাকে ক্ষমা করে দাও।
عن عائشة قالت قلت يا رسول الله أرأيت إن علمت أي ليلة ليلة القدر ما أقول فيها ؟ قال قولي اللهم إنك عفو كريم تحب العفو فاعف عني
ফায়দা: একদা উম্মুল মুমিনিন আয়েশা সিদ্দিকা রা. ইবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাই ওয়াসাল্লাল্লামকে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল আমি যদি নিশ্চিতভাবে শবে কদর পেয়ে যাই তখন কোন দোয়া পড়বো! তখন উত্তরে তিনি বলেন এই দোয়া পড়বে- ‘ধাল্লাহুম্মা ইন্নাকা য়াফুয়ুন তুহিব্বুল য়াফওয়া ফায়ফু য়ানি’
(তিরমিজি)

আয়নায় মুখ দেখার সময় এই দোয়া পড়বে।

اللهم انت حسنت خلقى فحسن خلقى
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা আনতা হসসানতা খলকি ফাহাসসিন খুলুকি।
অর্থ:- হে আল্লাহ তুমি আমার চেহারাকে সুন্দর বানিয়েছ সুতরাং আমার চরিত্রকেও সুন্দব করে দাও।

হাঁচি আসলে এই দোয়া পড়তে হয়-
الْحَمْدُ لِلَّهِউচ্চারণ:Ñ আলহমদু লিল্লাহ।
শ্রবণকারী এই উল্টর দিবে-
يَرْحَمُكَ اللهُ উচ্চারণ:- ইয়ারহামু কাল্লাহ।
এর উত্তরে হাঁচিদাতা এই বলে উল্টর দিবে-
يَهْدِيْكُمُ اللهُ وَيُصْلِحُ بَاْلَكُمْ
উচ্চারণ:- ইয়াহদি কুমুল্লাহ অ ইয়ুসলিহ বালাকুম।

কোন মুসলমান ভাইকে হাসি অবস্থায় দেথলে এই দোয়া পড়া,
اَضْحَكَ اللهُ سِنَّكَ
উচ্চারণ:- আযহাকাল্লাহু সিন্নাক।
অর্থ:- আল্লাহ তায়ালা তোমাকে সর্বদা হাসি অবস্থায় রাখুক।

কোন ব্যক্তি ঋণী হলে এই দোয়া পড়বে-
اللَّهُمَّ اكْفِني بِحَلالِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأغْنِني بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِواكَ
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মাক ফিনি হালালিকা য়ান হারামিক। অয়াগনিনি আম্মান সেওয়াক।
ফায়দা:-এই দোয়া পড়ার বরকতে আল্লাহ তায়ালা দ্রুত ঋণ পরিষোধের ব্যবস্থা করে দিবেন।

রাগ বা ক্রোধ দূর করার জন্য এই দোয়া পড়বে-
أعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَاْنِ الرَّجِيْمِ
উচ্চারণ:- আউজু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম।
ফায়দা:- হাদীস শরীফে আছে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদি কারো রাগ বা ক্রোধ আসে তাহলে এই দোয়া পড়রার বরকতে আল্লাহ তায়ালা রাগ বা ক্রোধ দূর করে দিবেন।

মজলিস থেকে উাার সময় এই দোয়া পড়বে-
سُبْحَانَكَ اللَّهُمَّ وَبِحَمْدِكَ ، أَشْهَدُ أَنَّ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ
উচ্চারণ:- সুবহানাল্লাহি অবিহামদিহী সুবহানাকাল্লাহুম্মা অবিহামদিকা আশহাদু আল্লাইলাহা ইল্লা আন্তা আসতাগফিরুকা অয়াতুবু ইলাইক।

বাজারে প্রবেশ করলে এই দোয়া পড়বে,
لَا إِلَهَ إِلَا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ وَهُوَ حَيٌّ لَا يَمُوْتُ بِيَدِهِ الْخَيْرَ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٍ
উচ্চারণ:- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু অহদাহু লাশারিকালাহু লাহুল মুলকু অলাহুল হামদু ইয়ুহয়ি অয়ুমিতু অহুয়া হাইয়ুন লা ইয়ামুত বিয়াদিহিল খাইর আহুয়া য়ালা কুল্লি শাইয়িন কদির।
أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال من قال في السوق لَا إِلَهَ إِلَا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ وَهُوَ حَيٌّ لَا يَمُوْتُ بِيَدِهِ الْخَيْرَ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٍ كتب الله له ألف ألف حسنة ومحا عنه ألف ألف سيئة وبنى له بيتا في الجنة
ফজিলত:-হাদীস শরীফে আছে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি বাজারে প্রবেশ করে এই দোয়া পড়বে আল্লাহ তায়ালা তার আমলনামায় ১০ লক্ষ নেকি লিখে দেন এবং ১০ লক্ষ গোনাহ মাফ কওে দেন এবং তার মর্যাদা ১০ লক্ষ গুণ বৃদ্ধি তরে দেন। তার জন্য জান্নাতে এশটি ঘর নির্মান করেন। (তিরমিজি শরীফ)

মৌসুমের প্রথম ফল দেখলে এই দোয় পড়বে-
الَّلهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْ ثَمَرِنَاهَذِهِ وَ بَارِكْلَنَافِىْ مَدِيْنَتِنَا وَ بَارِكْلَنَا فِىْ صَاعِنَا
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফি সামারিনা হাজিহি। অবারিক লানা ফি মাদিনাতিনা। অবারিক লানা ফি সয়িনা।
ফায়দা:-যখন কোন মৌসুমের প্রথম ফল দেখবে তখন সবচেয়ে ছোট বাচ্চাকে ডেকে তার হাতে তা দিবে।

কাউকে বিপদে বা রোগাক্রান্ত দেখলে আস্তে আস্তে এই দোয়া পড়বে,
“الحَمْدُ لله الذِي عَافَانِي مِمَّا ابْتَلَاكَ بِهِ وَفَضَّلَنِيْ عَلَى كَثِيْرٍ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيْلَا
উচ্চারণ:- আলহামদু ল্লিল্লাহিল্লাজি য়াফানি মিম্মা ইবতালাকাবিহি অয়া ফাজ্জালানি মিম্মান খালাকা তাফজিলা।
عن عمر أن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال من رأى صاحب بلاء فقال الحمد لله الذي عافاني مِمَّا ابْتَلَاكَ بِهِ وَفَضَّلَنِيْ عَلَى كَثِيْرٍ مِمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيْلَا إلا عوفي من ذلك البلاء كائنا ما كان ما عاش
ফায়দা:- হযরত উমর রা. থেকে বর্ণিত হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি কোন রোগী বা বিপদগ্রস্ত ব্যক্তিকে দেখে এই দোয়া পড়বে ‘ধালহামদু ল্লিল্লাহিল্লাজি য়াফানি মিম্ম ইবতালাকাবিহি অয়া ফাজ্জালানি মিম্মান খালাকা তাফজিলা’ আল্লাহ তায়ালা পড়নেওয়ালকে ঐ রোগগুলি থেকে মুক্তি দিবেন। (তিরমিজি শরীফ)

অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখতে গেলে ৭ বার এই দোয়া পড়বে-
أَسْأَلُ اللَّهَ الْعَظِيمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ أَنْ يَشْفِيَكَ
উচ্চারণ:- আসয়ালুল্লাহাল য়াযিম রব্বাল আরশিল য়ায়িম আই ইয়াশফিয়াক।
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِىِّ –صلى الله عليه وسلم- قَالَ ্র مَنْ عَادَ مَرِيضًا لَمْ يَحْضُرْ أَجَلُهُ فَقَالَ عِنْدَهُ سَبْعَ مِرَارٍ أَسْأَلُ اللَّهَ الْعَظِيمَ رَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ أَنْ يَشْفِيَكَ إِلاَّ عَافَاهُ اللَّهُ مِنْ ذَلِكَ الْمَرَضِ গ্ধ.
ফায়দা:-হযরত ইবনে আব্বাস রা, থেকে বর্ণিত, হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি কোন অসুস্থ ব্যক্তিকে দেখে এই দোয়া ‘ধাসয়ালুল্লাহাল য়াযিম রব্বাল আরশিল য়ায়িম আই ইয়াশফিয়াক’ পড়বে আল্লাহ তায়ালা অসুস্থ ব্যক্তিকে দ্রুত সুস্থতা দান করবেন। (তিরমিজি, আবুদাউদ)
অসুস্থ ব্যক্তি নিজেই এই আয়তটি ৪০ বার পড়বে-
لَّا إِلَٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ﴿الأنبياء: ٨٧﴾
উচ্চারণ:- লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনায যালিমিন।
عن الشارع صلى الله عليه وسلم وأيما مسلم دعا بقوله لا إله إلا أنت سبحانك إني كنت من الظالمين أربعين مرة فمات من مرضه ذلك أعطي أجر شهيد وإن برأ برأ وقد غفر له جميع ذنوبه مس الحديث أخرجه الحاكم في المستدرك
ফজিলত:-হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে সকল মানুষ নিজের অসুস্থাবস্থায় এই আয়াতটি ৪০ বার পাঠ করবে সে যদি এ রোগের কারণে মারা যায় তাহলে ৪০ জন শহীদের মর্যাদা লাভ করবে। আর সুস্থ হলে আল্লাহ তায়ালা সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিবেন। (মুসতাদরাকে হাকেম)

মুমুর্ষ ব্যক্তির কাছে বসে নিজেরা এই কালিমা পড়বে
لَا إِلَهَ إِلَا الله
উচ্চারণ:- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।
মুমুর্ষ ব্যক্তি নিজে এই দোয়া পড়বে,
الَّلهُمَّ اغْفِرْلِىْ وَارْحَمْنِىْ وَ الْحِقْنِىْ بِالرَّفِيْقِ الاَعْلَى
উচ্চারণ:-আল্লাহুমাগ ফিরলি অয়ার হামনি অয়ালহিকনি বিরফিকিল য়ায়লা।
ফায়দা:- হাদীস শরীফে আছে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তির শেষ কথা হবে لَا إِلَهَ إِلَا اللهُ হবে সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে। (মুসতাদরাকে হাকেম)
মৃত্যু বা কোন দুঃষ সংবাদ শুনলে এই দোয় পড়বে,
إِنَّالِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ ﴿البقرة: ١٥٦﴾
উচ্চারণ:- ইন্না লিল্লাহি ওনন্না ইলাইহি রাজিউন
মাইয়্যেতকে কবরে রাখার সময় এই দোয়া পড়বে,
بِسْمِ اللهِ وَعَلَى مِلَّةِ رَسُوْلِ اللهِ
উচ্চারণ:- বিসমিল্লাহি ওয়ালা মিল্লাতি রাসূলিল্লাহ
কবর জিয়ারতের সময় এই দোয়া পড়বে,
السَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا أَهْلَ الْقُبُوْرُ ! يَغْفِرُ اللهُ لَنَا وَلَكُمْ أَنْتُمْ سَلَفُنَا وَنَحْنُ بِالْأَثَرِ
উচ্চারণ: আসসালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর। ইয়াগফিরুল্লাহু লানা ওলাকুম আনতুম সালাফুনা ওনাহনু বিল আসার।

ঋণ পরিশোধের আমল
কারো কাছে ঋুী হলে প্রত্যহ ফজরের সালামের পর সুরা শুআরার
اللَّهُ لَطِيفٌ بِعِبَادِهِ يَرْزُقُ مَن يَشَاءُ وَهُوَ الْقَوِيُّ الْعَزِيزُ ﴿الشورى: ١٩﴾ থেকে ১৯নং আয়াত পর্যন্ত ৮০ বার পড়বে। এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া করবে। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা ঋণ পরিষোধের ব্যবস্থা করে দিবেন। (আপকে মাসায়েল আউর উনকা হল)

চাকরি পাওয়ার আমল

যদি কারও চাকরি ছুটে যায় বা চাকরি না পাওয়া যায় তাহলে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সাথে আদায় করে তিন বার সুরা ফাতেহা ও তিনবার আয়াতুল কুরসি পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করবে। ইনশাআল্লাহ তাড়াতাড়ি চাকরির ব্যবস্থা হয়ে যাবে। (আপকে মাসায়েল আউর উনকা হল)

রিজিক বৃদ্ধি ও পেরেশানি থেকে বাচার আমল

কারোর রিজিকে সংকির্ণতা দেখা দিলে বা পেরেশানি দূর না হলে ঘরের সকল মেম্বার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়বে এবং রাত্রে সুরা ওকেধা তিলাওয়াত করবে। টেলিভিশন দেখা বন্ধ করে দিবে। (আপকে মাসায়েল আউর উনকা হল)

শ্রবণশক্তি ফিরে পাওয়ার আমল

যদি কেউ কানের শ্রবণ শক্তি হারিয়ে ফেলে তাহলে সে সুরা ফাতেহা পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করবে। হাদিস শরিফে আছে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদি কেউ শুরু ও শেষে তিন বার করে দুরুদ শরীফ এবং মাঝে সুরা ফাতেহা পড়ে এবং দম করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা তার শ্রবণ শক্তি ফিরিয়ে দিবেন। এই আমল করতে থাকবে। ( আপকে মাসায়েল আউর উনকা হল)

অভদ্র বাচ্চা ভাল করার আমল

বাচ্চাদের অসৎ চরিত্র ও নাফরমানি পিতা মাতার গুনাহের কারণেই হয়ে থাকে তাই পিতা-মাতা আল্লাহর কাছে তরবা করবে এবং তিনবার সুরা ফাতেহা পড়ে পানিতে দম করে ঐপানি বাচ্চাকে পান করাবে। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা বাচ্চাকে সৎচরিত্র বানিয়ে দিবেন। ( আপকে মাসায়েল আউর উনকা হল)

বাচ্চার সুস্থতার আমল

যদি কারো বাচ্চা অধিকাংশ সময় অসুস্থ থাকে তাহলে সুরা ফাতেহা ৭বার, আয়াতুল কুরসি ১বার ও ৪কুল পড়ে বাচ্চার শরীরে দম করতে থাকবে। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা সুস্থতা দান করবেন। ( আপকে মাসায়েল আউর উনকা হল)

স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মুহাব্বত সৃষ্টি করার আমল

এশার নামাজের পড় ১১ কালো মরিচের দানা নিয়ে আগে পড়ে ১১বার দুরুদ শরীফ এবং মাঝে ১১বার ইয়া লতিফু ইয়া ওদুদু পড়বে।
يَا لَطِيْفُ يَاوَدُوْدُ
উচ্চারণ:- ইয়া লতিফু ইয়া ওদুদু ।
আর পড়ার সময় তাদের মাঝে মুহাব্বতের চিন্তা করতে থাকবে। এবং যখন সব পড়া শেষ হবে তখন ঐদানাগুলোর মাঝে দম করে জলন্ত আগুণে ঢেলে দিবে। এবং মুহাব্বতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করবে। এই আমল কমপক্ষে ৪০দিন পযর্ন্ত করবে। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তায়ালা তাদের মাঝে মুহাব্বত সৃষ্টি করে দিবেন। ( আপকে মাসায়েল আউর উনকা হল)

স্মরণশক্তি বৃদ্ধির আমল

পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পড় মাথায় হাত রেখে
يَا عَزِيْزُ يَا قَوِىُّ
উচ্চারণ:- ইয়া আজিজু ইয়া কবিইউ
দশবার করে পড়লে আল্লাহ তায়ালা স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি করে দিবে। ( আপকে মাসায়েল আউর উনকা হল)

স্মরণ শক্তির বৃদ্ধির আরো এশটি আমল

رَّبِّزِدْنِي عِلْمًا উচ্চারণ:- রব্বি জিদনি ইলমা।
অর্থ: হে আমার প্রতি পালক আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দিন।

দুরুদ শরীফ পড়া ওয়াজিব

যখন কোন মজলিসে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাম মুবারক নেয়া হয় তখন হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর এশবার দুরুদ শরীফ পড়া ওয়াজিব। ( আপকে মাসায়েল আউর উনকা হল)

মুসাফাহার দোয়া

মুসাফাহা করার সময় এই দোয়া পড়তে হয়।
يَغْفِرُ اللهُ لَنَا وَلَكُمْ
উচ্চারণ: -ইয়াগ ফিরুল্লাহু লানা ওলাকুম।
অর্থ: আল্লাহ আপনাকে আমাকে ক্ষমা করুন।

সুখবর শোনার দোয়া

কারো থেকে কোন সুখবর শুনলে এই দোয়া পড়বে।
الْحَمْدُ لِلَّهِ
উচ্চারণ:- আলহামদু ল্লিাল্লাহ।
অর্থ: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর।

পিতা মাতার জন্য দোয়া

পিতা মাতার জন্য এই দোয়া পড়বে।
رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا ﴿الإسراء: ٢٤﴾
উচ্চারণ: রব্বির হামহুমা কামা রাব্বাইয়ানি সগিরা। অর্থ: হে আল্লাহ আমার পিতা-মাতার প্রতি দয়া প্রদর্শন করুণ যেভাবে তারা আমাকে ছোট বেলায় দয়া করে লালন পালন করেছেন। (আল কুরআন)

উপকারের দোয়া

কেউ কারো উপকার করলে এই দোয়া করবে।
جَزَاْكَ اللهُ خَيْرًا
উচ্চারণ:- জাযাকাল্লাহু খাইরন।
অর্থ: আল্লাহ তোমাকেও উত্তম বদলা দান করুন।

বেহেশত লাভের দোয়া

কেউ যদি নিয়মিত এই দোয়া পাঠ করে তাহলে ইনশাআল্লাহ সে ব্যক্তির বেহেশত নসিব হবে।
الَّلهُمَّ إِنِّىْ أَسْأَلُكَ رِضَاكَ وَالْجَنَّةِ
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা রিজাকা ওয়াল জান্নাহ।
অর্থ: হে আল্লাহ তোমার নিকট তোমার সন্তুষ্টি ও বেহেশত কামনা করছি।

হাই আসার দোয়া

হাই এলে এই দোয়া পড়বে
لَاحَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إلا بالله الْعَلِىُّ الْعَظِيْمِ
উচ্চারণ: লা হাওলা ওয়ালা কুআতা ইল্লাবিল্লাহিল আলিয়্যিল আজিম।
অর্থ: উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন মহান আল্লাহ প্রদত্ত্ব শক্তি ব্যতীত ইবাদত করা বা গুনাহ থেকে বেচে থাকার শক্তি সমর্থণ কারো নেই।

দুধ পান করার দোয়া

দুধ পান শেষে এই দোয়া করতে হয়।
الَّلهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِىْهِ وَزِدْنَا مِنْهُ
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা বারিকলানা ফিহি ওজিদনা মিনহু।
অর্থ: হে আল্লাহ এতে আমাদের জন্য বরকত দিন এবং এই নেয়ামত আমার জন্য আরো বৃদ্ধি করে দিন।
হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্বপ্নে দেখার আমল
যদি কোন ব্যক্তি বেশি বেশি সুন্নতের অনুসরণ ও দুরুদ শরীফ পাঠ করে তাহলে ইনশাআল্লাহ একদিন সে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে স্বপ্নে দেখবেই। (আপকে মাসায়েল আউর উনকা হল)

বিভিন্ন খতমসমূহ

১) খতমে খাজেগান।
২) দূরূদে নারিয়া।
৩) খতমে বুখারী।
৪) খতমে ইউনূস।
৫) খতমে শিফা।
৬) খতমে ইয়াসিন।

১) খতমে খাজেগান:

যে কোন রূপ কঠিন দুরারোগ্যব্যধি এবং বিপদ আপদের কবল থেকে মুক্তি লাভের মানসে, মকসুদ হাসেল, পরীক্ষা ও প্রতিযোগিতায় কামিয়াবি, চাকুরি লাভ, মামলা মুকাদ্দমায় সত্যের জয় লাভ, প্রভিতি উদ্দেশ্য পূরণের জন্য খতমে খাজেগানই বিস্ময়কর কার্যকরি অদ্বিতীয় এবং দ্রুত ফল প্রদানকারী হিসাবে পরীক্ষিত ও সর্বজন বিদিত।
খতমে খাজেগান পড়ার পদ্ধতি:-
১) সুরা ফাতেহা ৭ বার।
২) দূরূদ শরীফ ১০০ বার।
৩) সুরা আলাম নাসরাহ ৭০ বার।
৪) সুরা ইখলাস ১০০০ বার।
৫) সুরা ফাতেহা ৭০ বার।
৬) দূরূদ শরীফ ১০০ বার।
৭) নি¤œ লিখিত দোয়া ১০০০ বার।
فسهل يا اله كل صعب بحرمة سيدل الابرار سهل بفضلك ياعزيز.
উচ্চারণ:- ফাসাহহিল ইয়া ইলাহি কুল্লা সায়বিন বিহুরমতি সাইয়িদিল আবরারি সাহহিল বিফজলিকা ইয়া য়াজিযু।
অর্থ:- হে খোদা, নেককার গণের শরদার হযরত মুহাম্মদ স. এর উসিলায় সকল মুসিবত সহজ করে দেন। হে পরাক্রমশালী আল্লাহ আপনার অনুগ্রহে মুশকিল আসান করে দিন।
৮) ১০০ বার يا قاضى الحاجات উচ্চারণ:- ইয়া কজিয়াল হা-যত। অর্থ:- হে যাবতিয় অভাব মোচন কারী।
৯) ১০০ বার يا كافى المهمات উচ্চারণ:- ইয়া কাফিয়াল মুহিম্মাত। অর্থ:- হে সকল সমস্যার সমাধান কারী।
১০) ১০০ বার يا مجيب الدعوات উচ্চারণ:- ইয়া মুজিবাদ দাওয়াত। অর্থ:- হে পার্থনা মঞ্জুরকারী।
১১) ১০০ বার يا دافع البليات উচ্চারণ:- ইয়া দাফিয়াল বালিয়াত। অর্থ:- হে সকল বিপদাপদ নিবারন কারী।
১২) ১০০ বার ياحلال المشكلات উচ্চারণ:- ইয়া হাল্লালাল মুশকিলাত। অর্থ:- হে যাবতীয় সমস্যার সমাধান কারী।
১৩) ১০০ বার يا رافع الدرجات ইয়া রফিয়াদ দারাজাত। অর্থ:- হে উচ্চ মর্যাদা প্রদান কারী।
১৪) ১০০ বারيا مفتح الابواب উচ্চারণ:- ইয়া মুফত্তিহাল আবওয়াব। অর্থ:- হে অনুগ্রহের দার উম্মুক্ত কারী।
১৫) ১০০ বার يا شافع الامراض উচ্চারণ:- ইয়া শাফিয়াল আমরায। অর্থ:- হে রোগ ব্যধি থেকে মুক্তি প্রদান কারী।
১৬) ১০০ বার يا غوث اغثنى وامددنى উচ্চারণ:- ইয়া গাউছু আগিছনী ওয়ামদুদনী। অর্থ:- হে ফরিয়াদ শ্রবণ কারী আমার ফরিয়াদ শ্রবণ করুন এবং আমায় সাহায্য করুন।
১৭) ১০০ বার رب انى مغلوب فانتصرউচ্চারণ:- রব্বী আন্নী মাগলুবুন ফানতাসির। অর্থ:- হে প্রতিপালক আমি অত্যাচারিত দূর্বল অতএব আপনি আমাকে সাহায্য করুন।
১৮) ১০০ বার يا ارحم الرحمين উচ্চারণ:- ইয়া আরহামার রহিমিন। অর্থ:- হে সর্বোধীক অনুগ্রহ কারী।
১৯) ১০০ বার انا لله وانا اليه راجعون
উচ্চারণ:- ইন্না ল্লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইল্লাইহি রাজিউন। অর্থ:- নিশ্চই আমরা সকলে আল্লাহর জন্য আর অবশ্যই আমরা তার নিকট প্রত্যাবর্তন করবো।
২০) ১০০ বার لاحول ولاقوة الابالله العلى العظيم
উচ্চারণ:- লা হাওলা ওলা কুয়াতা ইাল্লা বিল্লাহিল য়ালিয়্যুল য়াজিম।
অর্থ:- আল্লাহ তায়ালা ব্যতীত কারো কোন উপায় ও নেই কোন শক্তিও নেই।
২১) ১০০ বার لااله الاانت سبحنك انى كنت من الظالمينউচ্চারণ:- লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজজলিমিন।
অর্থ:- আপনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই । এবং আপনি পুত-পবিত্র আর নিশ্চয়ই আমি জুলুম করেছি।
২২)اللهم صلى على سيدنا محمد وعلى أل سيدنا محمد بعدد كل داء ودواء.
উচ্চারণ:- আল্লাহুম্মা সাল্লিয়ালা সাইয়্যিদিনা মুহাম্মাদ। ওয়ালা আলি সায়্যিদিনা মুহাম্মাদ। বিয়াদাদি কুল্লি দায়িন ওয়া দাওয়া।
অর্থ:- হে আল্লাহ আপনি আমাদের সরদার হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার পরিবার পরিজনের প্রতি অসণিত রহমত বর্ষণ করুন।
২৩) ১০০ বার দূরূদ শরীফ পড়ে খতম শেষ করবে।
অুপর খতম শেষ করার পর মুনাজাতের ভিতর প্রথমে নিজের গুনাখাতার জন্য মাফ চাবে। তারপর সকল নবী-রাসূল, জীবিত বা মৃত সকল মুমিন-মুমিনাত, সকল পীড়-মাশায়েখ, গাওস-কুতুব, অলী-আবদাল, হাজী-গাজী, পিতা-মাতা, দাদা-দাদী, সকল আত্মীয়-স্বজনের উপর এই খতমের সোয়াব বখশিয়ে দিবে। তারপর আল্লাহ পাকের দরবারে পূর্ণ বিনয় অবনত মস্তকে ন¤্রভাবে মিনতী ও ধৈর্র্য সহকারে নিযের উদ্দেশ্যের কথা উল্লেখ করে করুনা প্রার্থনা করবে। ইনশাআল্লাহ মাওলায়ে পাক প্রার্থনা কবুল করবেন। খালি হাতে ফিরিয়ে দিবেন না। এাঁ পরীক্ষিত। (ইমদাদুল ফাতাওয়া)

২) দুরূদে নারিয়া

যে কোনো বিপদে বা সমস্যার সম্মুখিন হলে দূরূদে নারিয়া ৪৪৪৪ (চার হাজার চারশত চুয়াল্লিশ বার) একই ওযুতে এবং বৈঠকে যে কোনো সংখক লোক মনোযোগ সহকারে পাঠ করলে আল্লাহ তায়ালা উক্ত বিপদ থেকে মুক্তি দেন ও সমস্যার সমাধান করে দেন। এাঁ বুজুর্গদের পরীক্ষিত আমল। হাদীস দ্বারা প্রমানিত নয়। অতএব এাঁকে সুন্নাত তরিকা মনে করা যাবে না।
দুরূদে নারিয়া এই:-
اللهم صل صلاة كاملة وسلم سلاما تاما على سيدنا محمد الذى تنحل به العقد وتنفرج به القرب وتقضى به الحوائج وتنال به الرغائب وحسن الخواتم ويستسقى الغمام بوجهه الكريم وعلى أله وصحبه فى كل لمحة وعدد كل معلوم لك

৩) খতমে বুখারী।

বুখারী শরীফ খতম করে দোয়া করা হলে দোয়া কবুল হয়ে থাকে। এবং কোন পার্থব উদ্দেশ্যে বুখারী শরীফ খতম করে দোয়া করলে সে উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়ে থাকে। এাঁ ওলামায়ে কেরাম ও বুজুর্গানে কেরামের অভিজ্ঞতা দ্বারা প্রমানিত। কুরআন বা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়।
পার্থিব কোনো উদ্দেশ্যে বুখারী শরীফ খতম করালে পাঠকারীকে তার বিনিময় প্রদান করা ও পাঠকারীর জন্য তা গস্খহণ করা উভয়টিই জায়েয আছে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া)

৪) খতমে ইফনুস বা খতমে শেফা

উলামায়ে কেরামের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে সোয়া লক্ষ (১২৫০০০) বার দোয়ায়ে ইফনুস পাঠ করে দোয়া করলে রোগ ব্যধি ও বিপদ আপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এাঁকে খতমে ইফনুস বা খতমে শেফা বলা হয়। উল্লেখ্য যে হযরত ইফনুস আ. এাছের পেটে আটকা পড়ে এই দোয় পাঠ করায় আল্লাহ তায়ালা তাকে মাছের পেট থেকে উদ্ধার করেন।
দোয়ায়ে উননুস এই:- لااله الاانت سبحنك انى كنت من الظالمين
উচ্চারণ:- লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জলিমিন।
অর্থ:- হে আল্লাহ তুমি ছাড়া কোন মাবুদ নাই। তুমিই পবিত্র আমি পাপিদের অন্তর্ভূক্ত। উল্লেখ্য যে, এই দোয়াটি সোয়া লক্ষ বার পাঠ করলে বিপদ-আপদ বা রোগ-ব্যধি থেকে মুক্তি লাভ হবে এই বিষয়টি কুরআন বা সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়। এাঁ অভিজ্ঞতা দ্বারা প্রমাণিত। অতএব খতমে ইফনুসকে বা খতমে শেফাকে সুন্নাত তরীকা মনে করা যাবে না। এমন মনে করলে বিদয়াত হয়ে যাবে।
বিপদ-আপদ বা রোগ-ব্যধি থেকে মুক্তি লাভের উদ্দেশ্যে খতমে ইফনুস বা খতমে শেফা পাঠ করলে পাঠকারীকে বিনিময় প্রদান করা ও তা পাঠকারীর জন্য গস্খহণ করা জায়েয আছে।

৫) খতমে জালালী

কোন পার্থিব উদ্দেশ্যে এক লক্ষ (১০০০০০) বার কালিমায়ে তাইয়্যেবা অর্থাৎ لا اله الا الله محمد رسول الله যে উদ্দেশ্যে পাঠ করবে সে উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে যাবে।এাঁকে খতমে জালালী বা লাখ কালিমার পাঠ বলা হয়ে থাকে। এাঁ অভিজ্ঞতায় প্রমাণিত বিষয় কুরআন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। অতএব এাঁকে সুন্নাহ মনে করা যাবে না। সুন্নাহ মনে করলে তা বিদয়াত হয়ে যাবে।
কোন পার্থিব উদ্দেশ্যে এ খতম পাঠ করলে তার পারিশ্রমিক দেওয়া বা নেয়া উভয়টি জায়েয আছে। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়া)

৬) দুরূদে তাজ

দুরূদে তাজ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। অতএব এর ফজিলতে যা লেখা হয় তা ভিত্তিহীন। তদুপরি এর মধ্যে কিছু শিরকপূর্ণ কথা রয়েছে। অতএব তা পরিত্যজ্য। পড়তে হলে সেই অংশ বাদ দিয়ে পড়া যায়। (ফতোয়ায়ে রহিমিয়া)

৭) খতমে আম্বিয়া

জাহান্নাম থেকে মুক্তির উদ্দেশ্যে সত্তর হাজার (৭০০০০) বার لااله الاالله পড়ে দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিবেন। এই কালিমাটি সোয়া লক্ষ বার পড়ার কথা আছে। (রসায়েলে ইবনে আরেদ্বীন)

তাওবা-ইস্তেগফারের নিয়ম

তাওবা অর্থ হলো গুনাহ থেকে আনুগত্যের দিকে এবং গাফলত থেকে আল্লাহর স্বরণের দিকে ফিরে আসা। আর এস্তেসফার অর্থ ক্ষমা চাওয়া।
প্রত্যেক বান্দার উপর তার পাপ থেকে তরবা এস্তেসফার করা ওয়াজিব।

তাওবার জন্য মোট পাঁচটি কাজ করতে হবে।

১) খাটি অন্তরে তরবা করতে হবে। অর্থাৎ শুধুমাত্র আল্লাহর আযাবের ভয় ও তার নির্দেশের মহত্বকে সামনে রেখে তরবা করতে হবে।
২) অুীত পাপের জন্য অনুতাপ ও লজ্জিত হতে হবে।
৩) উক্ত পাপ থেকে এখনই বিরত হতে হবে।
৪) ভবিষ্যতে উক্তপাপ না করার জন্য দৃঢ় সংকল্প করতে হবে।
৫) আল্লাহর হক াব ান্দার হক নষ্ট করে থাকলে তার সংশোধন ও প্রতিকার করতে হবে। যেমন:- নামাজ, রোজা, হজ¦, জাকাত ইত্যাদি আল্লাহর হক আদায় না করে থাকলে তা আদায় করতে হবে। আর বান্দার হকের মধ্যে অর্থ সম্পদ বিষয়ক হক তা নষ্ট করে থাকলে উক্ত অর্থ তার হকদারের নিকট বা তার মৃত্যু হয়ে থাকলে তার উয়ারিসগণের নিকট ফিরত দিতে হবে। তা সম্ভব না হলে তাদের থেকে মাফ করিয়ে নিতে হবে। আর অর্থ সম্পদ ব্যতীত অন্য কোন হক নষ্ট করে ফেললে যেমন গিবত করে থাকলে, মুখে বা কথায় কষ্ট দিয়ে থাকলে তার থেকে মাফ করিয়ে নিতে হবে। কোন ফিৎনার আশংকা না থাকলে উক্ত অন্যায় উল্লেখ পূর্বক ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। অন্যথায় অন্যায় উল্লেখ করা ব্যতীতই ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। তার মধ্যেও ফিৎনার আশংকা থাকলে শুধু আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবে। নেক কাজ করবে এবং দান সদকা করবে। আর হকদার ব্যক্তির মৃত্যু হলে তার উদ্দেশ্যে কিছু সদকা করে দিবে।

বি.দ্র. উপরে উল্লেখিত পাঁচটি বিষয় পূর্ণ করা ব্যতীত শুধু গুানুগতীক ভাবে মুখে তাওবা ও ইস্তেগফারের বাক্য আওড়ালেই তাওবা হয়ে যায় না। যদিও শুধু তাওবার বাক্য মুখে আওরানোরটাও একেবারে ফায়দা থেকে খালি নয়।


সংকলন
মুফতি মিজানুর রহমান মাহমুদী
ইফতা: ফতোয়া ও ইসলামী আইন গবেষণা বিভাগ
(জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪)

সম্পাদনা: শাকিল আদনান

Tags:

মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়া
দোয়া মাসুরা
আযানের দোয়া
ঘুমানোর দোয়া
কবর জিয়ারতের দোয়া
সন্তানের জন্য দোয়া
অসুস্থ ব্যক্তির জন্য দোয়া
শবে কদরের দোয়া
দোয়া ইউনুস
ঘুমের দোয়া
বাথরুমে প্রবেশ করার দোয়া
দুই সিজদার মাঝের দোয়া
দোয়া কুনুত
ইফতারের দোয়া
মাথা ব্যথার দোয়া
বিপদ থেকে মুক্তির দোয়া
বাবা মার জন্য দোয়া
রোগীর জন্য দোয়া
গুরুত্বপূর্ণ দোয়া
ব্যথার দোয়া
দোয়া সাইয়েদুল ইস্তেগফার
রোগ মুক্তির জন্য দোয়া
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ত ও দোয়া
বৃষ্টির সময় পড়ার দোয়া
সহবাসের জন্য স্ত্রীকে বাধ্য করার দোয়া
ভালবাসার মানুষকে পাওয়ার দোয়া
তওবা করার দোয়া
পায়খানা প্রস্রাব খানায় যাওয়ার দোয়া
টয়লেটে প্রবেশের দোয়া
ঘুমাতে যাওয়ার দোয়া
মেয়ে বশ করার দোয়া
ছানা দোয়া কুনুত
তাহাজ্জুদ নামাজের দোয়া বাংলা
সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা
মা বাবার দোয়া rickshaw
তারা তারি মনের সকল আশা পুরন হওয়ার দোয়া
স্ত্রীর ভালোবাসা পাওয়ার দোয়া
জানাজার দোয়া
রমজানের দোয়া
রাব্বি জিদনি ইলমা দোয়া
বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়া
পরীক্ষার জন্য দোয়া
এস্তেখারা দোয়া ছবি
স্ত্রীর সাথে মিলনের সময় নিম্নের দোয়া পাঠ করা
হজ্জের দোয়া বাংলায়
জায়নামাজের দোয়া আরবি
হজ্জ এর দোয়া
নামাজের শেষের দোয়া
দোয়া প্রার্থী
ঘর থেকে বাহির হওয়ার দোয়া
মা বাবার দোয়া
দোয়া মাছুরা
স্ত্রীকে বাধ্য করার দোয়া
দৈনন্দিন জীবনের কিছু প্রয়োজনীয় দোয়া for print
তারাতারি বিয়ে হওয়ার দোয়া
বিপদ থেকে মুক্তি পাবার দোয়া
সিজদায় দোয়া সমূহ
যানবাহনে চড়ার দোয়া
আয়াতুল কুরসি দোয়া বাংলা
সন্তানের জন্য পিতার দোয়া
সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা message
পায়খানায় যাওয়ার দোয়া
এস্তেখারা দোয়া
বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়
কাউকে বশে আনার দোয়া
ঘর থেকে বের হবার দোয়া
বিবাহ হওয়ার দোয়া
স্ত্রীকে বশ করার দোয়া
মুরুব্বিদের দোয়া
মৃত মা বাবার জন্য দোয়া
তাহাজ্জুদ নামাজের নিয়ম ও দোয়া
রোগ মুক্তির দোয়া
কোন দোয়া বেশি কবুল হয়
টয়লেট থেকে দোয়া
দোয়া প্রার্থী meaning in english
কি দোয়া পরলে পাওনা টাকা ফেরত আসে
ভূমিকম্পের সময় পড়ার দোয়া
নামাজের নিয়ম ও দোয়া
দোয়া হাজারী
দৈনন্দিন জীবনের কিছু প্রয়োজনীয় দোয়া
আযানের দোয়া বাংলায়
বৃষ্টির জন্য দোয়া
জানাযার দোয়া
জিন হাজির করার দোয়া
হাত তুলে দোয়া করা
অসম্ভবকে সম্ভব করার দোয়া
স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করার দোয়া
অসুস্থ হলে দোয়া
বদ দোয়া
ঘুমাতে যাওয়ার আগে দোয়া
ব্যথা দূর করার দোয়া
সিজদা থেকে উঠার দোয়া
দোয়া কামনা করা
ইস্তেখারার দোয়া
মানসিক চাপ থেকে মুক্তির দোয়া
জানাজা নামাজ ও দোয়া
মনের অস্থিরতা দূর করার দোয়া
দোয়া প্রার্থী english
গোপন কথা জানার দোয়া
ঘরে প্রবেশের দোয়া
শয়তান দূর করার দোয়া
এই দোয়া পরলে আপনার সকল ব্যথা বেদনা দূর হবে
স্ত্রীকে বশে আনার দোয়া
আসরের নামাজের পরের দোয়া
তাহাজ্জুদ নামাজের পর দোয়া
তারাবির নামাজের দোয়া
কোন কিছু শুরু করার দোয়া
খানা খাওয়ার দোয়া
মুনাজাত দোয়া
মোনাজাত ও দোয়া
শবে বরাতের নামাজের নিয়ম ও দোয়া
দোয়া চাই মাফ ও চাই facebook
দোয়া কবুল হওয়ার অব্যর্থ আমল
সন্তানের জন্য পিতা মাতার দোয়া
সহীহ দোয়া কুনুত
কবর জিয়ারতের দোয়া বাংলা উচ্চারণ
হজ্জের দোয়া
মানুষকে বশ করার দোয়া
সহবাসের দোয়া
ঘুম থেকে ওঠার দোয়া
বশীকরণ দোয়া
মানুষ মারা গেলে জানান দোয়া
বাসর রাতের দোয়া
মনের বাসনা পূরণ হওয়ার দোয়া
দোয়া হাজারী+pdf
ঘুম যাওয়ার দোয়া
দোয়া
সাইয়েদুল ইস্তেগফার দোয়া pdf
নামাজের দোয়া
তওবার দোয়া
বেশি সময় সহবাস করার দোয়া
ভুমিকম্পের দোয়া
কাউকে ভুলে থাকার দোয়া
ফরজ গোসলের নিয়ম ও দোয়া
সেহরি ও ইফতারের দোয়া

প্রতিদিন প্রয়োজনীয় দুআ
জানাজার দুআ
বাথরুম থেকে বাহির হওয়ার দুআ
দুআ কবুল

Comments

2 responses to “ফাজায়েলে দোয়া: মুসলিম জীবনের প্রাত্যহিক দোয়াসমূহ”

  1. Raiyan Abdullah Avatar
    Raiyan Abdullah

    অনেক গুরুত্বপূর্ন তথ্য অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর তথ্য আমাদরে সাথে শেয়ার করার জন্য।

    1. sakiladnan Avatar
      sakiladnan

      ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *