সিংহের গর্জন আমি শুনেছি। শুনেছি পল্টনে,
বাইতুল মোকাররম উত্তর গেটে, মুক্তাঙ্গনে, লালবাগে…
সারা বাংলায়-সিংহ সে একজনই! তার গর্জনে ধরেছে কাঁপন
স্বৈরাচার, জুলুমবাজ; জালিমের অন্তর-আত্মায়।
অন্ধকারের জীবগুলো তাই দিকভ্রান্ত হয়ে আনত লজ্জায়
হারিয়েছে হিতাহিত জ্ঞানের শেষ সীমান্তরেখা,
নিরুপায় অন্ধকারে ছুঁড়েছে অযথা ঢিল, খুঁজে পেতে সান্ত¡না!
সিংহের গর্জন আমি শুনেছি। শুনেছি সংসদে, মাঠে-ময়দানে,
জিরোপয়েন্টে, নয়াপল্টনে, প্রেসক্লাবের আঙিনায়…
সিংহের বজ্র নিনাদ- ফাটিয়ে দিয়েছে নারদের কানের পিনা
করেছে অচল আর্টারি যত নাস্তিকের।
ওরা মূক ও বধির হয়ে বেছে নিয়েছিলো তাই হননের পথ
রাতারাতি সেজেছিলো গুমের নায়ক,
অবশেষে সত্যেরই জয় হলো পরাভূত হলো মিথ্যাচার
মিথ্যা তো জন্মেছিলো ধ্বংসেরই পরোয়ানা; সঙ্গে করে!
সিংহের গর্জন আমি শুনেছি। শুনেছি পল্টনে,
বাইতুল মোকাররম উত্তর গেটে, মুক্তাঙ্গনে, লালবাগে…
যদিও সে গর্জন থামাবার প্রয়াসে চলেছে জটিল মন্ত্রণা
চানক্যবাদের পোষা হায়েনারা বার বার ছুড়েছে থাবা
সিংহকে বধ করবে বলে! যুগপৎ মূর্খের দল সমালোচনার
ভাগারখানায় হাবুডুবু খেতে খেতে হয়েছে নাকাল-নাস্তানাবুদ।
সিংহ সতেজ পদচারণায় দেখে শুনে সব জয় করে শেষে
সফরের পরিসমাপ্তি টানলেন, যেখানে নেমেছিলো
লাখো মানুষের ঢল। উঠেছিলো অযুত কণ্ঠের তাকবীর ধ্বনি,
পড়েছিলো অকাতরে কান্নার রোল; লাখো মুমিনের রোনাজারি।
আমি সেই সিংহের কথা বলছি, যার গর্জন শুনে
টলে গিয়েছিলো খোদ শয়তানেরও তখত-তাউস।
-মহিউদ্দিন আকবর
Leave a Reply