যাকাত related কয়েকটা জরুরি বিষয় শেয়ার করছি, বিবেচনার আহ্বান রইলো ।
مَا أُمِرُوا إِلَّا لِيَعْبُدُوا اللَّهَ مُخْلِصِينَ لَهُ الدِّينَ حُنَفَاء وَيُقِيمُوا الصَّلَاةَ وَيُؤْتُوا الزَّكَاةَ وَذَلِكَ دِينُ الْقَيِّمَةِ
‘তাদের এ মর্মে আদেশ করা হয়েছে যে, তারা নিবিষ্ট মনে শুধুমাত্র আল্লাহর এবাদত করবে, যথাযথভাবে সালাত আদায় করবে, জাকাত প্রদান করবে, আর এটাই হলো সুপ্রতিষ্ঠিত দ্বীন। ’ (সুরা : বাইয়্যিনাহ, আয়াত : ৫)
وَالَّذِينَ يَكْنِزُونَ الذَّهَبَ وَالْفِضَّةَ وَلاَ يُنفِقُونَهَا فِي سَبِيلِ اللّهِ فَبَشِّرْهُم بِعَذَابٍ أَلِيمٍ
আর যারা স্বর্ণ ও রূপা জমা করে রাখে এবং তা ব্যয় করে না আল্লাহর পথে, তাদের কঠোর আযাবের সুসংবাদ শুনিয়ে দিন। (সুরা : তাওবা, আয়াত : ৩৪)
সো কি পরিমাণ সম্পদ থাকলে যাকাত দিতে হবে?
১- সোনা-রুপা: যথাক্রমে 7.5 অ্যান্ড 52.5 ভরি
2- পশু ও শস্য (নির্দিষ্ট পরিমাণ )
৩ – বিজনেস এর পণ্য- যে কোন বিজনেস হোক
৪- নগদ বা জমানো টাকা
প্রথম ২ টা তো নির্দিষ্ট। বিজনেস ও জমানো টাকা কি পরিমাণ থাকলে যাকাত দিটে হবে সেক্ষেত্রে বেশিরভাগ আলেম রুপার মূল্যের কথা বলেছেন। বর্তমান বাজার মূল্য ধরলে 52.5 ভরি রুপার দাম আসে মাত্র ২৬-৩৫ হাজার টাকা। ঋণ ও মৌলিক খরচের বাইরে এই পরিমাণ টাকা কারো কাছে ১ বছর থাকলেই যাকাত ফরজ হয়ে যাবে। আমাদের মধ্যে এমন লোক কমই আছি যাদের কাছে এই পরিমাণ টাকা নেই । সুতরাং, হিসেব করে যাকাত আদায় করে দেবো সবাই।
কিছু মৌলিক বিষয়:
প্রশ্ন: শুধু স্বর্ণ বা শুধু রুপা থাকলে কি যাকাত আসে যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ না হয়?
উত্তর: না। স্বর্ণ-রুপা মিক্স থাকতে হবে বা স্বর্ণ-রুপার সাথে নগদ টাকাও থাকতে হবে, তাহলে যাকাত আসবে।
প্রশ্ন: শুধু নগদ টাকার উপর কি যাকাত আসে?
উত্তর: আসে।
প্রশ্ন: টাকা, স্বর্ণ-রুপা মিক্স থাকলে যাকাত কিভাবে হিসাব হবে?
উত্তর: স্বর্ণ ও রুপার বাজার মূল্য দেখে নগদ টাকার সাথে হিসাব করতে হবে।
প্রশ্ন: স্বর্ণ-রুপার ক্রয় মূল্য হিসেব হবে নাকি বিক্রয় মূল্য?
উত্তর: বিক্রি করতে গেলে যে দাম পাওয়া যাবে সেটা হিসেবে আসবে।
প্রশ্ন: স্বামী-স্ত্রীর সম্পদ একসাথে হিসেব হবে না আলাদা?
উত্তর: আলাদা হিসাব হবে, যাকাত ও আলাদা দিতে হবে।
প্রশ্ন: যাকাত কি রমজানে দিতে হয়?
উত্তর: না, প্রথম যে মাসে হাতে স্বর্ণ রুপা বা নগদ টাকা এসেছিল, সেদিন থেকে এক বছর হিসেব করে নিতে হবে। আর যদি মনে না থাকে তাহলে কাছাকাছি একটা সময় ধরে নিতে হবে। মনে না করতে পারলে রমজানে দেয়া যেতে পারে। রমজানে আতিরিক্ত সাওয়াব তো আছেই ।
প্রশ্ন: কোথায় যাকাত দেওয়া যায়?
উত্তর: কুরআনে আটটি খাত এর কথা বলা আছে, তাদের যে কাউকে দেয়া যায়। নিজে, সরাসরি দেওয়া উত্তম। নিজের আত্মীয় স্বজন বা প্রতিবেশী কেউ দরিদ্র হলে তাকে আগে দিতে হবে। এতিমখানা বা লিল্লাহ বোর্ডিং যেখানে আছে সেখানে দেয়া যেতে পারে।
যাকাত নিয়ে এই ভিডিওতে ৫০টা FAQ এর জবাব দেয়া আছে, দেখতে পারেন ।
এই আর্টিকেলে বেতন এর যাকাত নিয়ে কিছু ভাল পয়েন্ট আছে চাইলে দেখতে পারেন
যাকাত দিলে লাভ?
সুরা বাকারার একদম শুরুর দিকেই আছে, যারা সালাত আদায় করে ও যাকাত দেয় তারাই হেদায়াতের উপর আছে এবং সফলকাম। তাছাড়া যাকাত ব্যক্তি ও তার সম্পদকে পবিত্র করে। বিপদ- আপদ দূর হয়। সম্পদে বরকত হয়।
যাকাত যেহেতু ফরজ, না দেয়ার কোন সুযোগ নেই।
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমাল করার তাওফিক দিন।
Leave a Reply