ইস্তেগফার
ইস্তেগফার আমাদের পরকালকে যেমন সমৃদ্ধ করতে পারে, আমাদের দুনিয়ার জীবনকেও সুন্দর করতে পারে। ক্ষমাপ্রার্থনা কেবলই পাপ থেকে মুক্তি নয়, ক্ষমাপ্রার্থনা আমাদের সংকট ও বিপদাপদ থেকেও মুক্তির হাতিয়ার। সহজ কথা, আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা চেয়ে কেউ যদি নিজের পাপগুলো ক্ষমা করিয়ে নিতে পারে, চোখের পানি ফেলে কেউ যদি ক্ষমাপ্রাপ্ত হতে পারে, তবে স্বাভাবিকভাবেই সে আল্লাহর প্রিয় বান্দায় পরিণত হবে। আর আল্লাহর প্রিয় বান্দা যারা, তাঁর রহমত ও দয়া তাদেরকে দুনিয়া-আখেরাত সর্বত্র ঘিরে রাখবেই। তা-ই যদি হয়, তবে আর ভাবনা কীসের! প্রয়োজন কেবলই গোনাহের অভিশাপ থেকে মুক্তির।
ঘরে-বাইরের সকলের চেয়ে নবীজীর কাছে সর্বাধিক প্রিয় মানুষ ছিলেন হযরত আয়েশা রা., আমাদের জননী। এমন প্রিয় মানুষ তাঁর নিকট বললেন বছরের সর্বাধিক ফযীলতপূর্ণ রাতে (শবে কদর) পড়ার জন্যে একটি দুআ শিখিয়ে দিতে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সে রাতে পড়ার জন্যে এ দুআ শিখিয়ে দিলেন-
اللَّهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّي
হে আল্লাহ! নিশ্চয়ই আপনি মহা ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমা করতে ভালবাসেন। সুতরাং আমাকে আপনি ক্ষমা করে দিন। -সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস ৩৮৫০
ইস্তেগফার অর্থাৎ আল্লাহর কাছে নিজের গোনাহের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করার গুরুত্ব ও ফযীলত প্রমাণ করার জন্যে এ একটি হাদীসই যদি থাকত, তবুও যথেষ্ট ছিল-রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সর্বাধিক প্রিয় মানুষটিকে বছরের সবচেয়ে মহিমান্বিত রাতে পড়ার জন্যে ক্ষমাপ্রার্থনা করার দুআ শিখিয়ে দিয়েছেন! এ ইস্তেগফারই আমাদের দুনিয়া-আখেরাতের মুক্তির রাজপথ।
এবারে সায়্যিদুনা আবু বকর সিদ্দীক রা.-এর কথা বলি। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে ছায়ার মতো ঘনিষ্ঠ ছিল তাঁর জীবন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন বলেছিলেন, আমি যদি কাউকে ‘খলীল’ বা অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করতাম, তবে আবু বকরকেই গ্রহণ করতাম। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৪৬৭
ঘরে-বাইরের সহচর সুখ-দুঃখের অংশীদার আবু বকর নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, নামাযে পড়ার জন্যে একটি দুআ আমাকে শিখিয়ে দিন। নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে শিখিয়ে দিলেন –
اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا، وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِي، إِنَّكَ أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
হে আল্লাহ! আমি তো আমার নিজের ওপর অনেক জুলুম করেছি। আপনি ছাড়া গোনাহ মাফ করার কেউ নেই। তাই আপনি আপনার পক্ষ থেকে আমাকে ক্ষমা করে দিন আর আমাকে অনুগ্রহ করুন। নিশ্চয়ই আপনিই কেবল মহা ক্ষমাশীল, মহা দয়ালু। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৮৩৪
দুআটি আমরা নামাযের শেষ বৈঠকে ‘দুআয়ে মাছুর’ হিসেবে নিয়মিত পড়ে থাকি। এখানেও লক্ষ করার বিষয়, নামাযের শেষ বৈঠকে, দুআ কবুলের মুহূর্তে পড়ার জন্যে হযরত আবু বকর সিদ্দীক রা.-এর মতো ঘনিষ্ঠ সহচর যখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে একটি দুআ শিখিয়ে দেয়ার আবদার করছেন, তখন তিনি তাকে ক্ষমাপ্রার্থনার এ দুআটি শিখিয়ে দিলেন।
আমরা আরও পিছনে ফিরে যাই। আমাদের সকলের বাবা ও মা সায়্যিদুনা আদম আলাইহিস সালাম ও তাঁর সঙ্গিনী হাওয়া রা.-কে আল্লাহ তাআলা যখন জান্নাত থেকে দুনিয়ায় নামিয়ে দিলেন, তখন যে দুআর বরকতে আল্লাহ তাআলা তাদের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন, তাও ছিল এই ইস্তেগফার বা ক্ষমাপ্রার্থনার দুআ-
رَبَّنَا ظَلَمْنَاۤ اَنْفُسَنَا وَ اِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَ تَرْحَمْنَا لَنَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ
হে আমাদের প্রভু! আমরা তো আমাদের নিজেদের ওপর জুলুম করেছি। আপনি যদি আমাদের ক্ষমা না করেন, আমাদেরকে দয়া না করেন তবে তো আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে পড়ব! -সূরা আরাফ (৭) : ২৩
এর বেশ পরে, তাদেরই এক সন্তান, সম্মানিত নবী সায়্যিদুনা ইউনুস আলাইহিস সালাম পড়েছিলেন এক কল্পনাতীত কঠিন সংকটে। গভীর সাগরে এক মাছ, সে মাছের পেটের ভেতর নবী ইউনুস আলাইহিস সালাম! কয়েক স্তরের এ অন্ধকার থেকে যে দুআর বরকতে তিনি বেরিয়ে আসেন, তাও ছিল ইস্তেগফার বা ক্ষমাপ্রার্থনা। তিনি দুআ করেছিলেন-
لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنْتَ سُبْحٰنَكَ اِنِّیْ كُنْتُ مِنَ الظّٰلِمِیْنَ
(হে আল্লাহ!) আপনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আপনি সকল ত্রæটি থেকে পবিত্র। নিশ্চয় আমি অপরাধী। -সূরা আম্বিয়া (২১) : ৮৭
ইস্তেগফারের কয়েকটি দুআ
ইসতিগফারের জন্য সবচে’ উত্তম হল কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত ইসতিগফার বিষয়ক দুআগুলো বুঝে বুঝে মুখস্থ করবে। সেই দুআগুলোর মাধ্যমে রাব্বে কারীমের দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করবে। তবে নিজের ভাষায় নিজের মতো করে ইসতিগফার করলেও ঠিক আছে। কারণ আল্লাহ সকল ভাষা, সবার কথা বুঝেন। সকলের আরজি কবুল করেন।
ইসতিগফারের ১৮ টি দুআ এখানে উল্লেখ করা হল-
رَبَّنَا ظَلَمْنَاۤ اَنْفُسَنَا، وَ اِنْ لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَ تَرْحَمْنَا لَنَكُوْنَنَّ مِنَ الْخٰسِرِیْنَ
হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা নিজেদের ওপর জুলুম করে ফেলেছি। আপনি যদি আমাদের ক্ষমা না করেন ও আমাদের প্রতি রহম না করেন তাহলে অবশ্যই আমরা অকৃতকার্যদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব। -সূরা আরাফ (৭) : ২৩
وَ اِلَّا تَغْفِرْ لِیْ وَ تَرْحَمْنِیْۤ اَكُنْ مِّنَ الْخٰسِرِیْنَ
(হে আমার প্রতিপালক!) আপনি যদি আমাকে ক্ষমা না করেন ও আমার প্রতি দয়া না করেন তাহলে আমিও ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাব। -সূরা হুদ (১১) : ৪৭
رَبِّ اِنِّیْ ظَلَمْتُ نَفْسِیْ فَاغْفِرْ لِیْ
হে আমার রব! আমি নিজের প্রতি জুলুম করেছি। আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। -সূরা কাসাস (২৮) : ১৬
لَاۤ اِلٰهَ اِلَّاۤ اَنْتَ سُبْحٰنَكَ ، اِنِّیْ كُنْتُ مِنَ الظّٰلِمِیْنَ
হে আল্লাহ! আপনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আপনি সকল ত্রæটি থেকে পবিত্র। নিশ্চয়ই আমি অপরাধী। -সূরা আম্বিয়া (২১) : ৮৭
رَبَّنَا اغْفِرْ لِیْ وَ لِوَالِدَیَّ وَ لِلْمُؤْمِنِیْنَ یَوْمَ یَقُوْمُ الْحِسَابُ
হে আমাদের প্রতিপালক! যেদিন হিসাব প্রতিষ্ঠিত হবে সেদিন আমাকে, আমার পিতা মাতা ও সকল ঈমানদারকে ক্ষমা করুন। -সূরা ইবরাহীম (১৪) : ৪১
رَبِّ اغْفِرْ لِیْ وَ لِوَالِدَیَّ وَ لِمَنْ دَخَلَ بَیْتِیَ مُؤْمِنًا وَّ لِلْمُؤْمِنِیْنَ وَ الْمُؤْمِنٰتِ
হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা করে দিন এবং আমার পিতা-মাতাকেও এবং প্রত্যেক এমন ব্যক্তিকেও, যে মুমিন অবস্থায় আমার ঘরে প্রবেশ করেছে আর সমস্ত মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীকেও। -সূরা নূহ (৭১) : ২৮
رَبِّ اغْفِرْ وَ ارْحَمْ وَ اَنْتَ خَیْرُ الرّٰحِمِیْنَ
হে আমার প্রতিপালক! আমার ত্রæটিসমূহ ক্ষমা করুন এবং আমার প্রতি দয়া করুন। আপনি তো দয়ালুদের শ্রেষ্ঠ দয়ালু। -সূরা মুমিনূন (২৩) : ১১৮
رَبَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَ ارْحَمْنَا وَ اَنْتَ خَیْرُ الرّٰحِمِیْنَ
হে আমাদের প্রতিপালক! আমরা ঈমান এনেছি। সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন। আপনি দয়ালুদের শ্রেষ্ঠ দয়ালু। -সূরা মুমিনূন (২৩) : ১০৯
رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَ كَفِّرْ عَنَّا سَیِّاٰتِنَا وَ تَوَفَّنَا مَعَ الْاَبْرَارِ، رَبَّنَا وَ اٰتِنَا مَا وَعَدْتَّنَا عَلٰی رُسُلِكَ وَ لَا تُخْزِنَا یَوْمَ الْقِیٰمَةِ ، اِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِیْعَادَ
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের গোনাহসমূহ ক্ষমা করে দিন। আমাদের মন্দসমূহ মিটিয়ে দিন এবং আমাদেরকে পুণ্যবানদের মধ্যে শামিল করে নিজের কাছে তুলে নিন।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে সেই সবকিছু দান করুন, যার প্রতিশ্রæতি আপনি নিজ রাসূলগণের মাধ্যমে আমাদেরকে দিয়েছেন। আমাদেরকে কিয়ামতের দিন লাঞ্ছিত করবেন না। নিশ্চয়ই আপনি কখনও প্রতিশ্রæতির বিপরীত করেন না। -সূরা আলে ইমরান (৩) : ১৯৩-১৯৪
رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَاۤ اِنْ نَّسِیْنَاۤ اَوْ اَخْطَاْنَا، رَبَّنَا وَ لَا تَحْمِلْ عَلَیْنَاۤ اِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهٗ عَلَی الَّذِیْنَ مِنْ قَبْلِنَا، رَبَّنَا وَ لَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهٖ، وَ اعْفُ عَنَّا، وَ اغْفِرْ لَنَا، وَ ارْحَمْنَا، اَنْتَ مَوْلٰىنَا فَانْصُرْنَا عَلَی الْقَوْمِ الْكٰفِرِیْنَ.
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের দ্বারা যদি কোনো ভুল-ত্রæটি হয়ে যায়, সেজন্য আমাদের পাকড়াও করবেন না।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের প্রতি সেই রকমের দায়িত্বভার অর্পণ করবেন না, যেমন অর্পণ করেছিলেন আমাদের পূর্ববর্তীদের প্রতি।
হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদের ওপর এমন ভার চাপিয়ে দিবেন না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই।
আপনি আমাদের ত্রæটিসমূহ মার্জনা করুন। আমাদেরকে ক্ষমা করুন এবং আমাদের প্রতি দয়া করুন। আপনিই আমাদের অভিভাবক ও সাহায্যকারী। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সাহায্য করুন। -সূরা বাকারা (২) : ২৮৬
رَبَّنَاۤ اِنَّنَاۤ اٰمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَ قِنَا عَذَابَ النَّارِ
হে আমাদের রব! আমরা আপনার প্রতি ঈমান এনেছি। সুতরাং আমাদের পাপরাশি ক্ষমা করে দিন এবং আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে রক্ষা করুন। -সূরা আলে ইমরান (৩) : ১৬
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا ذُنُوْبَنَا وَ اِسْرَافَنَا فِیْۤ اَمْرِنَا، وَ ثَبِّتْ اَقْدَامَنَا وَ انْصُرْنَا عَلَی الْقَوْمِ الْكٰفِرِیْنَ
হে আমাদের রব! আমাদের গোনাহসমূহ এবং আমাদের দ্বারা আমাদের কার্যাবলিতে যে সীমালঙ্ঘন ঘটে গেছে তা ক্ষমা করে দিন। আমাদেরকে দৃঢ়পদ রাখুন এবং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদেরকে বিজয় দান করুন। -সূরা আলে ইমরান (৩) : ১৪৭
اللهُمّ أَنْتَ الْمَلِكُ، لَا إِلهَ إِلّا أَنْتَ، أَنْتَ رَبِّي، وَأَنَا عَبْدُكَ، ظَلَمْتُ نَفْسِي، وَاعْتَرَفْتُ بِذَنْبِي، فَاغْفِرْ لِي ذُنُوبِي جَمِيعًا، إِنّهُ لَا يَغْفِرُ الذّنُوبَ إِلّا أَنْتَ
হে আল্লাহ! আপনিই মালিক। আপনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আপনি আমার প্রতিপালক। আমি আপনার বান্দা। আমি নিজের ওপর জুলুম করেছি। আমি আমার অপরাধ স্বীকার করছি। সুতরাং আমার সকল পাপ ক্ষমা করে দিন। আপনি ছাড়া পাপ ক্ষমাকারী কেউ নেই। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ৭৭১, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৭৬০
اللّهُمّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا، وَلاَ يَغْفِرُ الذّنُوبَ إِلّا أَنْتَ، فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ، وَارْحَمْنِيْ إِنّكَ أَنْتَ الغَفُورُ الرّحِيمُ
হে আল্লাহ! আমি নিজের ওপর অনেক জুলুম করেছি। আপনি ছাড়া আমার পাপরাশি ক্ষমা করার কেউ নেই। আপনি আপনার পক্ষ থেকে আমাকে পূর্ণ মাগফিরাত নসীব করুন। আর আমার প্রতি দয়া করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল, চিরদয়াময়। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৮৩৪, সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৭০৫
أَسْتَغْفِرُ اللهَ الّذِي لَا إِلهَ إِلّا هُوَ الْحَيّ الْقَيّوم، وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি, যিনি ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। যিনি চিরঞ্জীব, সমগ্র সৃষ্টির নিয়ন্ত্রক। আমি তার কাছে তাওবা করছি। -সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৫১৭, জামে তিরমিযী, হাদীস ৩৮৯৪
رَبِّ اغْفِرْ لِي، وَتُبْ عَلَيّ، إِنّكَ أَنْتَ التّوّابُ الرّحِيمُ
হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন। আমার তাওবা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি তাওবা কবুলকারী, চিরদয়াময়। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীস ৪৭২৬, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ১৫১৬
اللّهُمّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلهَ إِلّا أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيّ، وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي، فَإِنّهُ لاَ يَغْفِرُ الذّنُوبَ إِلّا أَنْتَ
হে আল্লাহ! আপনি আমার প্রতিপালক। আপনি ছাড়া কোনও মাবুদ নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। আমি আপনার বান্দা। আমি যথাসাধ্য আপনার সাথে কৃত অঙ্গীকার ও আপনার প্রতিশ্রæতির উপর রয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি। আমার প্রতি আপনার নিআমতের কথা স্বীকার করছি। আপনার কাছে আমি আমার গোনাহের কথা স্বীকার করছি। আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। নিশ্চয় আপনি ছাড়া কেউ গোনাহ ক্ষমা করতে পারে না। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৩০৬
أَسْتَغْفِرُ اللهَ رَبِّيْ مِنْ كُلِّ ذَنْبٍ وّأَتُوْبُ إِلَيْهِ، لَا حَوْلَ وَلَا قُوّةَ إِلّا بِاللهِ الْعَلِيِّ الْعَظِيْمِ
আমি আমার প্রতিপালক আল্লাহর কাছে সকল গোনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর কাছে তাওবা করছি। সুমহান আল্লাহ ছাড়া আমাদের কোনো সাধ্য নেই, শক্তি নেই। [আল্লাহর কোনো বুযুর্গ বান্দার শেখানো ইসতিগফারের বাক্য। যার অর্থ ঠিক আছে।]
মনে রাখতে হবে, ইসতিগফারের প্রাণ হল তাওবা। আর তাওবার হাকীকত হল, মানুষ আল্লাহ তাআলার নাফরমানী ছেড়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসবে। পিছনের অন্যায়গুলোর কাফফারা আদায় করবে। যেখানে যে কাফফারার কথা বলা হয়েছে সেখানে তা-ই আদায় করবে। বিশেষ করে মানুষের কোনো হক নষ্ট হয়ে থাকলে সেগুলো আদায়ের ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিবে।
একথাও মনে রাখবে, ইসতিগফারের গুরুত্বপূর্ণ একটি সুরত হল, কুরআনে কারীমে কিংবা হাদীস শরীফে যে আমল ও ইবাদাতের প্রসঙ্গে মাগফিরাতের ওয়াদা করা হয়েছে সেগুলোর প্রতি বেশি গুরুত্ব দিবে।
প্রত্যেক মুমিনের যেহেনেই সেই আমলগুলোর একটা তালিকা থাকা উচিত। এই তালিকায় সর্বপ্রথম রয়েছে ফরয নামায ও অন্যান্য ফরয ইবাদাত। এরপর মাগফিরাত পাওয়ার আমলগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল কবীরা গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা। তাছাড়া দান-সদকা, যিকির-আযকার ও অন্যান্য নফল ইবাদতগুলো তো রয়েছেই।
সায়্যেদুল ইস্তিগফার
হাদীসেও অনেক দুআ-ইস্তিগফার বর্ণিত হয়েছে। এর মধ্যে ‘সায়্যেদুল ইস্তিগফার’কে আমরা আমাদের ওজীফা বানাতে পারি।
اللّهُمّ أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلهَ إِلّا أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيّ، وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي، فَإِنّهُ لاَ يَغْفِرُ الذّنُوبَ إِلّا أَنْتَ
হে আল্লাহ! আপনি আমার প্রতিপালক। আপনি ছাড়া কোনও মাবুদ নেই। আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন। আমি আপনার বান্দা। আমি যথাসাধ্য আপনার সাথে কৃত অঙ্গীকার ও আপনার প্রতিশ্রুতির উপর রয়েছি। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি। আমার প্রতি আপনার নিআমতের কথা স্বীকার করছি। আপনার কাছে আমি আমার গোনাহের কথা স্বীকার করছি। কাজেই আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন। নিশ্চয় আপনি ছাড়া আর কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৬৩০৬
যিকির ও দুআর মধ্যে সবচে বরকতপূর্ণ আমল হল দরূদ শরীফ। এটি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শাফাআত এবং আল্লাহ তাআলার রহমত ও মাগফিরাত লাভের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
মা’ছূর দরূদ শরীফের মধ্যে সংক্ষিপ্ত একটি দরূদ হল-
اللّهُمّ صَلِّ عَلَى مُحَمّدٍ النّبِيِّ الْأُمِّيِّ.
এখানে আরও দুটি শব্দ বাড়িয়ে এভাবেও পড়া যায়-
اللّهُمّ صَلِّ عَلَى مُحَمّدٍ النّبِيِّ الْأُمِّيِّ وَآلِه وَسَلِّمْ.
দৈনিক কমপক্ষে দুই বেলা দরূদ শরীফের আমল জারি রাখা উচিত। সেটা দশবার দশবার করেও হতে পারে। একেবারে না হওয়ার চেয়ে এটাও ভালো।
তওবা
ইস্তেগফারের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা একটি শব্দ-তওবা। শব্দদুটি প্রায় সমার্থক। ইস্তেগফার অর্থ কৃত গোনাহের জন্যে আল্লাহর কাছে অনুতাপ ও অনুশোচনার সঙ্গে ক্ষমা প্রার্থনা করা, আর তওবা অর্থ ফিরে আসা, পাপের পথ ছেড়ে পুণ্যের পথে ফিরে আসা, আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে আনুগত্যের দিকে ফিরে আসা, ভুল পথ ছেড়ে মহান প্রতিপালকের দিকে ফিরে আসা। এ তওবা-ইস্তেগফার একজন মুমিনের বড় গুণ। গোনাহের অভিশাপ থেকে নিজেকে পবিত্র করার হাতিয়ার। মানবীয় দুর্বলতার কারণেই আমরা শিকার হই শয়তানের কুমন্ত্রণার। আর তখন বিভিন্ন গোনাহের কাজে জড়িয়ে পড়ি। সে গোনাহ থেকে মুক্তির পথই হচ্ছে তওবা ও ইস্তেগফার। ইচ্ছায় হোক কিংবা অনিচ্ছায়, মানুষ কোনো পাপে লিপ্ত হওয়ার পর যদি সে তার ভুল বুঝতে পারে এবং এজন্যে সে কায়মনোবাক্যে মহান প্রভুর কাছে অনুতপ্ত হয়, তাহলে সে গোনাহ যত বড়ই হোক না কেন, তা ক্ষমা করে দেওয়া হয়। পবিত্র কুরআনের আহ্বান কতটা সরল, দেখুন-
قُلْ یٰعِبَادِیَ الَّذِیْنَ اَسْرَفُوْا عَلٰۤی اَنْفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوْا مِنْ رَّحْمَةِ اللّٰهِ اِنَّ اللّٰهَ یَغْفِرُ الذُّنُوْبَ جَمِیْعًا اِنَّهٗ هُوَ الْغَفُوْرُ الرَّحِیْمُ
(হে নবী,) তুমি বলে দাও, হে আমার বান্দারা! তোমরা যারা নিজেদের ওপর অবিচার করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। আল্লাহ সমুদয় পাপ ক্ষমা করে দেবেন। তিনি তো মহা ক্ষমাশীল, অত্যন্ত দয়ালু। -সূরা যুমার (৩৯) : ৫৩
তওবা করলে আল্লাহ তাআলা কি শুধু আমাদের গোনাহগুলো ক্ষমা করে দেন? এতটুকু হলেই তো যথেষ্ট ছিল। অবাধ্য গোলাম যদি ক্ষমা চেয়ে অবাধ্যতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে পারে, তবেই তো যথেষ্ট। কিন্তু তওবাকারী বান্দাদের প্রতি আল্লাহ তাআলার রহমত আরও অনেক ব্যাপক। কয়েকটি বড় পাপের বর্ণনা দেয়ার পর তিনি ঘোষণা করেছেন-
یُضٰعَفْ لَهُ الْعَذَابُ یَوْمَ الْقِیٰمَةِ وَ یَخْلُدْ فِیْهٖ مُهَانًا، اِلَّا مَنْ تَابَ وَ اٰمَنَ وَ عَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَاُولٰٓىِٕكَ یُبَدِّلُ اللّٰهُ سَیِّاٰتِهِمْ حَسَنٰتٍ ، وَ كَانَ اللّٰهُ غَفُوْرًا رَّحِیْمًا
…(এ সকল পাপে যে জড়াবে) কিয়ামতের দিন তার শাস্তি দ্বিগুণ করা হবে এবং সেখানে সে স্থায়ী হবে হীন অবস্থায়। তবে তারা নয়, যারা তওবা করে, ঈমান আনে এবং সৎকাজ করে। আল্লাহ তাদের পাপরাশিকে পুণ্য দিয়ে পাল্টে দেবেন। আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। -সূরা ফুরকান (২৫) : ৬৯-৭০
তবে তওবার এ প্রতিদান তাদের ভাগ্যেই জুটবে, যারা তওবা করবে খাঁটি মনে। অতীতের গোনাহের জন্যে অনুতপ্ত হয়ে ভবিষ্যতে সে অন্যায় আর কখনো না করার জন্যে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবে। এর পাশাপাশি কৃত অপরাধের দায়মুক্তির চেষ্টা করবে। বান্দার হক সংশ্লিষ্ট হলে তা আদায় করতে হবে কিংবা তার কাছ থেকে ক্ষমা করিয়ে নেবে। আর যদি আল্লাহর হক সংশ্লিষ্ট হয় তবে সম্ভব হলে কাযা আদায় করবে। এমন যে করতে পারে তার তওবাই আল্লাহর নিকট গৃহীত হয় এবং তাঁর ক্ষমার বর্ষণে সিক্ত হয়। এমন তওবার পুরস্কারের কথা আল্লাহ জানিয়েছেন এভাবে-
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیْنَ اٰمَنُوْا تُوْبُوْۤا اِلَی اللّٰهِ تَوْبَةً نَّصُوْحًا، عَسٰی رَبُّكُمْ اَنْ یُّكَفِّرَ عَنْكُمْ سَیِّاٰتِكُمْ وَ یُدْخِلَكُمْ جَنّٰتٍ تَجْرِیْ مِنْ تَحْتِهَا الْاَنْهٰرُ
হে মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহর নিকট তওবা করো-বিশুদ্ধ তওবা। আশা করা যায়, তোমাদের প্রভু তোমাদের পাপগুলো মুছে দেবেন এবং তোমাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার পাদদেশে নদীসমূহ বয়ে যায়। -সূরা তাহরীম (৬৬) : ৮
কথা থেকে যায়, প্রথমবার যেমন শয়তানের প্ররোচনায় গোনাহ হয়ে গেল, তেমন তো পরে আবারও হতে পারে। তা হোক, যখনই কেউ গোনাহে জড়াবে, তখনই যদি আবার সে গোনাহের জন্যে অনুতপ্ত হয়, আবারো প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়-এ কাজ আর কখনো করবে না, তবে প্রতিবারই আল্লাহ তাআলা ক্ষমা করবেন। আমরা তাঁর গোলাম, বান্দা, তিনি আমাদের প্রভু, আমাদের প্রতিপালক।
রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, কোনো বান্দা যখন আল্লাহর কাছে তওবা করে, তখন তিনি তার তওবায় মরুভূমিতে উট হারিয়ে ফিরে পাওয়া এ ব্যক্তিটির চেয়েও বেশি খুশি হন। ( দ্র. সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৭৪৭)
তওবা-ইস্তেগফার কেবল যে গোনাহ থেকে মুক্ত হওয়ার মাধ্যম এমন নয়, এর মাধ্যমে বান্দার আত্মিক উন্নতিও সাধিত হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন-
يَا أَيّهَا النّاسُ تُوبُوا إِلَى اللهِ فَإِنِّى أَتُوبُ فِى الْيَوْمِ إِلَيْهِ مِائَةَ مَرّةٍ
হে লোক সকল! তোমরা আল্লাহর কাছে তওবা করো। আমি তো তাঁর কাছে দৈনিক একশ বার তওবা করি। -সহীহ মুসলিম, হাদীস ২৭০২
গোনাহ থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ও পবিত্র হওয়া সত্তে¡ও তিনি প্রতিদিন এত বেশি পরিমাণে মহান প্রভুর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করতেন। অথচ তিনি যে গোনাহ থেকে মুক্ত ছিলেন, তা তো বলাবাহুল্য।
আর আল্লাহ তাআলার কাছে নিজের গোনাহের কারণে ক্ষমা প্রার্থনা করার জন্যে জানাশোনা কোনো গোনাহ হতে হবে- তা নয়। নিজেদের অজান্তে কত গোনাহে আমরা জড়াই- কে জানে! নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে ক্ষমাপ্রার্থনার একটি দুআ শিখিয়েছেন এভাবে-
…فَاغْفِرْ لِيْ مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَأَسْرَرْتُ وَأَعْلَنْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّيْ
… আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন (আমার সকল গোনাহ), যা আমি আগে করেছি, যা পরে করেছি, যা গোপনে করেছি, যা প্রকাশ্যে করেছি এবং যে গোনাহ সম্পর্কে আপনি আমার চেয়ে বেশি অবহিত। -সহীহ বুখারী, হাদীস ৭৪৪২
ক্ষমা চাইতে হবে এভাবেই- জানা-অজানা, ছোট-বড়, গোপন-প্রকাশ্য সকল গোনাহ থেকে। এভাবে তওবা করলে আল্লাহ গোনাহ মাফ করবেন, গোনাহ যদি কখনো না থাকে তবে তখন এতে আত্মিক উন্নতি সাধিত হবে।
সবশেষে ইস্তেগফার আমাদের দুনিয়ার জীবনকে কতটা সমৃদ্ধ করতে পারে, পবিত্র কুরআনে বর্ণিত এর একটি নমুনা উল্লেখ করছি-
اسْتَغْفِرُوْا رَبَّكُمْ اِنَّهٗ كَانَ غَفَّارًا، یُّرْسِلِ السَّمَآءَ عَلَیْكُمْ مِّدْرَارًا، وَّ یُمْدِدْكُمْ بِاَمْوَالٍ وَّ بَنِیْنَ وَ یَجْعَلْ لَّكُمْ جَنّٰتٍ وَّ یَجْعَلْ لَّكُمْ اَنْهٰرًا
তোমরা তোমাদের প্রভুর নিকট ক্ষমাপ্রার্থনা করো। নিশ্চয়ই তিনি মহাক্ষমাশীল। (ক্ষমাপ্রার্থনা করলে) তিনি তোমাদের ওপর মুষলধারায় বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। তোমাদেরকে তিনি ধনসম্পদ ও সন্তানাদি দিয়ে সমৃদ্ধ করবেন। তোমাদের জন্যে তিনি বিভিন্ন রকমের বাগান ও অনেক নদ-নদী সৃষ্টি করে দেবেন। সূরা নূহ (৭১) : ১০-১২
Leave a Reply